বাংলা ই-বই
হে অরণ্য কথা কও

অরণ্য আর বিভূতিভূষণ সমার্থক অনেকের কাছেই আর পাঠক মাত্রেই জানেন সে কথা অমূলক নয়। তাঁর নামকরা অরণ্য সংক্রান্ত উপন্যাসগুলো পাঠক সমাজে চির সমাদৃত। এই উপন্যাসগুলোর পেছনে যে ছিল বিভূতিভূষণের নিজস্ব অভিজ্ঞতা তাও আমরা অনুমান করতে পারি, কিন্তু পাঠক হিসেবে যদি এই উপন্যাসগুলোর অঙ্কুরোদগমের খবর জানতে চান তাহলে পড়তে হবে ডাইরিতে লেখা তাঁর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। এগুলি পড়াও পাঠকের কাছে একটা আবিষ্কার , কারণ তা আপনাকে ক্ষনে ক্ষনে মনে করিয়ে দেবে আরণ্যক বা চাঁদের পাহাড়ের কোনো অংশ। আপনি বুঝতে পারবেন উপন্যাসের পটভূমিকা। এই উদ্দেশ্যেই প্রথমে উপন্যাস গুলি দিয়ে পরে ডাইরির অংশবিশেষ সংকলিত করা হলো।
রামায়ণ - সারানুবাদ রাজশেখর বসু

ভারতীয় কবিগণনায় প্রথমেই বাল্মিকীর স্থান, কিন্তু তাঁর রামায়ণ এত বড় যে মূল বা অনুবাদ সমগ্র পড়বার উৎসাহ অতি অল্প লোকেরই হয়। এই পুস্তক বাল্মিকী-রামায়ণের বাংলা সারসংকলন, কিন্তু সংক্ষেপের প্রয়োজনে এতে কোনও মুখ্য ব িষয় বাদ দেওয়া হয়নি!
এই সংকলনে বাল্মিকীর বৈশিষ্ট্য যথাসম্ভব বজায় রাখবার চেষ্টা করা হয়েছে এবং তাঁর রচনার সঙ্গে পাঠকের কিঞ্চিৎ সাক্ষাৎ পরিচয় হবে এই আকাঙ্ক্ষায় স্থানে স্থানে নমুনা স্বরূপ মূল শ্লোক স্বচ্ছন্দ বাংলা অনুবাদ সহ দেওয়া হয়েছে ।
রঞ্জনা ডাকছে আমায়

ভালোবা সা কি কোনো বাধা মানে? হয়তো না, কিন্তু মাঝে বিচ্ছেদ আসতে পারে, কারণ মানুষের লোভ, নির্মমতা। রঞ্জনা ভালোবেসেছিল, শুভও। কিন্তু তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পায়নি এক মর্মান্তিক ঘটনাতে। কিন্তু সবকিছু সেখানেই কি শেষ হয়ে গেছিল? হয় নি। অপার্থিব অপেক্ষায় থাকা রঞ্জনা আর শুভ কি মিলিত হতে পেরেছিলো? সেই নিয়েই এই উপন্যাসিকা।
এবং গল্পেরা

সমাজ ক্ষতবিক্ষত। এইসময়ে মানুষ হয়ে মানুষের মনের কথা বলা দরকার। কোনো একজন নির্দিষ্ট মানুষ নন, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কথা। 'এবং গল্পেরা' নামক এই গল্প সংগ্রহে একজন মানুষ তার চারপাশের আর কয়েকজন মানুষের কথা বলতে চেয়েছেন, তাই এই এই সংগ্রহে তীব্র প্রেম আছে, পরকীয়া আছে, সম্প্রদায়গত ঘৃণার গল্প আছে, ভূত আছে, গোয়েন্দা আছে, খুন আছে, অনুবাদ আছে সাথে আবার নিছক মানুষের গল্পেরাও আছে।
আমাদের এই সংকলন নির্দিষ্ট কোনো জঁরের আওতায় আসে না। বরং এই সংকলনের নবীন লেখকেরা চেয়েছেন তাঁর নিজের গল্পটা বলতে। যে গল্পটা হয়তো ওই লেখক না বললে, তার চারপাশের যোজন যোজন মাইল ব্যাসার্ধের আর কেউই বলে উঠতে পারত না।
লিখেছেন:
অপর্ণা চৌধুরী অমিতাভ দাশশর্মা অমৃতা মুখার্জী অলোক রায় আঞ্জনেয় ভট্টাচার্য ইন্দ্রলেখা ভট্টাচার্য্য এস এস অরুন্ধতী জয়দীপ গুপ্ত জাহাঙ্গীর হোসেন তাসনিয়া আহমেদ তীর্থপতি গুপ্ত দিবাকর দাস দোলা সেন দীপ ঘোষ নাঈম হাসান পপি দে পৌষালী সেনগুপ্ত বামাচরণ ভট্টাচার্য মলয় সরকার মাহমুদুর রহমান মিতা ঘোষ মিত্রা হাজরা রুমা চৌধুরী রূপম চট্টোপাধ্যায় রূপসা নাথ শাশ্বতী রায় শুভব্রত বসু শ্যামাপ্রসাদ সরকার সন্ধ্যা বোস সুচরিতা ঘোষ সুচেতনা সেন কুমার সুজয় দত্ত সুবীর বিশ্বাস সুষমা ব্যানার্জী সৌম্যসুন্দর মুখোপাধ্যায় সৌভিক দাস হিমাদ্রী মৈত্র !
শরশয্যা

মহাভারতে কৃষ্ণ এক অদ্ভুত চরিত্র।গোটা মহাভারত জুড়েই তাঁর বিচরণ। যেন মনেহয় সবকিছুই তাঁর অঙ্গুলি হেলনে ঘটছে। সুজন ভট্টাচার্যের ‘শরশয্যা’ও সেই প্রতিফলন থেকে মুক্ত নয়। দ্রৌপদী ও কৃষ্ণের সম্পর্কের নতুন ব্যাকরণ এনেছেন। এসেছে শকুনির অভিলাষ-যা মহাভারতের যুদ্ধের এক বিশেষ কারণ। এসেছেন কৃষ্ণ ও ভাগ্যহত বীর কর্ণ। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ বন্ধ করতে মৃত্যুপথযাত্রী পিতামহের কাতর আবেদন নাকচ হয়েছে। শেষ বেলায় শিখণ্ডীর আগমন ভীষ্মের চরিত্রের আরেকদিক উন্মোচন করে।
আমরা ঠিকই পেরিয়ে যাব

কোনো কোনো বই ভোরের নরম আলোর মতন স্নিগ্ধতা ও প্রত্যয়ে ভরে দেয় অন্তর।আকাশে বাতাসে যেন রমিত হতে থাকে--- আমরা ঠিক-ই পেরিয়ে যাব আঁধার রাতের ঝড়/ আঁধার রাতের ঝড় পেরোতে মানুষ-ই তো নির্ভর। এমন-ই এক কাব্যগ্রন্থ অমিতাভ দাশশর্মার “আমরা ঠিকই পেরিয়ে যাব…”। এ বইতে দুটি পর্যায়ে বিন্যস্ত হয়েছে কবিতা। গার্হস্থ্য পর্যায় এবং অন্তরীণ পর্যায়। গার্হস্থ্য পর্যায়ে কবি ছুঁয়ে ফেলেন আমাদের নৈমিত্তিকতার নানান দিকচিহ্ন--- ভেজা কাঠে আঁচ দিলে ধোঁয়া ওঠে খুব… ধোঁয়ায় ঘর-দোর মলিন হয়ে যায়…। অন্তরীণ পর্যায়ে কবি-কলমে ধরা পড়েছে মানুষের বর্তমান গৃহবন্দিত্বের যন্ত্রণা, একই সঙ্গে এই অতিমারী জয় করার প্রত্যয়।
আটচল্লিশ ঘন্টা

পুলিশের সিনিয়র এএসপি মনিরুল আলম মারুফের সাথে তুচ্ছ কারণে ঝগড়া হবার কিছুক্ষণ পরেই খুন হয়ে যায় বড়লোকের বখাটে ছেলে এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাকির আদনান। সমস্ত দোষ গিয়ে পড়ে মারুফের ওপরে। ডিপার্টমেন্ট, মিডিয়া থেকে শুরু করে খোদ হোম মিনিস্টারও উঠে পড়ে লাগে ওকে খুনি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে। এমন পরিস্থিতিতে বড়কর্তা তাকে সাসপেন্ড করে অ্যারেস্ট করার আগে আটচল্লিশ ঘন্টা সময় বেঁধে দেয় খুনি ‘কে’ সেটা খুজে বের করার জন্যে। ওকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র মাহবুব এবং আইটি এক্সপার্ট আলীম পাটোয়ারী। খুনিকে খুজে বের করার জন্যে ওদের হাতে সময় আছে মাত্র আটচল্লিশ ঘন্টা... জীবন এবং মৃত্যুর মাঝখানে বেঁধে দেওয়া আটচল্লিশ ঘন্টা...



