বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়
Bibhutibhushan Bandopadhyay
অমর কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১২ই সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতবর্ষের বাংলা প্রদেশের চব্বিশ পরগণা জেলার কাঁচরা পাড়ার সন্নিকট ঘোষপুর-মুড়াটিপুর গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে রিপন কলেজ থেকে বি.এ পরীক্ষায় ডিস্টিংশন সহ উত্তীণ হন।
হুগলী জেলার জাঙ্গিপাড়া গ্রামের বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মাধ্যমে পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেন। এরপরে সোনারপুর হরিনাভী স্কুলেও শিক্ষাকতা করেন। খেলৎচন্দ্র ঘোষের বাড়িতে গৃহ শিক্ষক ও সেক্রেটারি হিসাবে কাজ করেন, ওনার সুপারিশ ক্রমে ভাগলপুর সার্কেলের সহকারী ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। ভাগলপুরে প্রবাসী হিসাবে বসবাস করতে থাকেন, এখানেই তাঁর অমর উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’ রচিত হয়। এভাবে কিছুদিন কাটানোর পর ধর্মতলায় খেলাৎচন্দ্র মেমোরিয়াল স্কুলে শিক্ষকতা করেন। পরে বনগাঁর নিকট গোপালনগর হরিপদ ইনস্টিটিউশনে আমৃত্যু জীবন পর্যন্ত শিক্ষাকতা করতে থাকেন।
১৯২১ খ্রিস্টাব্দে প্রবাসী পত্রিকায় উপেক্ষিতা নামক গল্প প্রকাশের মধ্য দিয়েই তাঁর সাহিত্যিক জীবনে সূত্রপাত ঘটে।প্রকৃতি আর মানুষকে ভালবাসতেন। তাই ছোট থেকেই জগৎটাকে দেখতেন দু’চোখ ভরে। উপভোগ করতেন পথের দৃশ্য। নজর এড়াত না মানুষের দুঃখও। সাহিত্যেও সেই ছাপই রেখেছেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অসংখ্য অসাধারণ উপন্যাস এবং গল্পের লেখক, বাংলাসাহিত্যকে এক অন্যতর উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া প্রকৃতি প্রেমে মুগ্ধ আনন্দময় বিভূতিভূষণের প্রয়াণ ঘটে ১৯৫০ সালের ১ নভেম্বর, ঘাটশিলায়। মাত্র ৫৬ বছর বয়সে।