বাংলা ই-বই
দি কল অব্ দি ওয়াইল্ড

জ্যাক লন্ডনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ “দি কল অব্ দি ওয়াইল্ড”-এর অনুবাদ প্রকাশিত হল। বাক নামে একটি কুকুর এই গ্রন্থের প্রধান চরিত্র। যে অপূর্ব কাহিনী এই আছে পরিবেশিত হয়েছে, জগৎ সাহিত্যে তার তুলনা নেই। দ্য কল অফ দ্য ওয়াইল্ড এর পটভূমি (১৯০৩) গোল্ড রাশ চলাকালীন ইউকন, কানাডা অঞ্চল! গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বাক, ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারা ভ্যালি থেকে চুরি হয়ে আলাস্কায় স্লেজ কুকুর হিসেবে বিক্রি হয়। কঠোর পরিবেশে টিকে থাকার সংগ্রামে সে ক্রমশ বন্য হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত তার আদিম প্রবৃত্তি ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দলের নেতা হয়ে ওঠে!
এই উপন্যাসটি মানুষের সভ্যতা বনাম প্রকৃতির আদিম শক্তির দ্বন্দ্বকে তুলে ধরে এবং জ্যাক লন্ডনের লেখনীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ক্রিকেটের খেরোর খাতা

কাহিনীর শুরু লেখকের জীবনের প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ দেখবার অভিজ্ঞতা – পাঁচবছরের বালকের বিস্ময়বিমুগ্ধ দৃষ্টিতে গ্যারি সোবার্সের শতরান দর্শন। তাও আবার ৫৬ বছর আগেকার ইডেনের গ্যালারি থেকে!
কিন্তু ক্রিকেটের ইতিহাস তারও অনেক আগের, কেমন ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ক্রিকেট, কে ছিলেন টেস্ট-ক্রিকেটের খাসমহলে পদার্পণকারী প্রথম ভারতীয়-বাঙালি? ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের স্বর্ণযুগ, ডন ব্র্যাডম্যান, প্রতিবেশী পাকিস্তানের ক্রিকেটে পরিপক্কতার কাহিনী, সময়ের সাথে কি ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে ক্রিকেট, হেলমেট থেকে বায়োমেকানিক্স , চায়নাম্যান বোলিংয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত, ক্রিকেটের খারাপ ছেলে শেন ওয়ার্ণ কিরকম অধিনায়ক ছিলেন? এই সবের সঙ্গে রয়েছে ক্রিকেটের নানা আকর্ষণীয় কাহিনী!
ক্রিকেট প্রেমীদের জন্যেই এই বই!
চন্দ্রকান্তা

আজ থেকে প্রায় ১৪০ বছর আগে একজন বিখ্যাত হিন্দি লেখক বাবু দেবকীনন্দন খত্রী চন্দ্রকান্তা নামে একটা উপন্যাস রচনা করেছিলেন, যেটা প্রকাশিত হবার পরেই তৎকালীন হিন্দি, উর্দু সাহিত্যের জগতে তো বটেই বরং আসমুদ্রহিমাচল জুড়ে আলোড়ন পড়ে গেছিল। মূলত প্রেম কাহিনী হলেও এর মধ্যে রহস্য রোমাঞ্চ গুপ্তচরবৃত্তি চক্রান্ত রাজতন্ত্র সবকিছুই আছে।
কোন যুদ্ধে জয়লাভ করতে গেলে রণনীতিই প্রথম এবং অন্তিম বিকল্প হওয়া উচিত, সংখ্যা দিয়ে যুদ্ধকে এড়ানো সম্ভব, জেতা সম্ভব নয়, চন্দ্রকান্তা উপন্যাস পড়তে এই কথার অর্থটা মর্মে মর্মে পাঠক উপলব্ধি করতে পারবেন।
চন্দ্রকান্তা উপন্যাসকে অনুবাদক সিমরান দাস প্রথমবারের জন্য আনকাট এবং আনসেন্সার্ড অনুবাদের মাধ্যমে বাঙালী পাঠকদের কাছে পৌছে দিলেন। চন্দ্রকান্তা উপন্যাসের মধ্যে প্রচুর উর্দু শব্দের উপস্থিতি আছে অনুবাদিকা সিমরান দাস সেগুলোকে বাংলাতে সুন্দর ভাবে সহজ ভাষাতে অনুবাদ করেছেন।
স্টিম হাউস

১৮ জুন, ১৮৫৮ সাল! গোয়ালিয়রের কাছে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের এক লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এক বীরাঙ্গনা! রানী লক্ষ্মী বাঈ! তাঁর বাহিনী মুখোমুখি হয়েছে জেনারেল হিউ রোজের নেতৃত্বে থাকা ব্রিটিশ বাহিনীর। গোয়ালিয়র পুনরুদ্ধারের জন্য পাল্টা আক্রমণে ইতোমধ্যেই ব্রিটিশরা হারিয়েছে তাদের বাহিনীর পনেরো শতাংশ।
ভয়ানক এই লড়াইয়ের ময়দানে বীরাঙ্গনা মুখোমুখি হলেন কর্নেল মুনরোর। যুদ্ধে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন রানী। এই রানী লক্ষ্মী বাঈয়ের শেষ যুদ্ধ।
যুদ্ধ জয়ের আনন্দে থাকা কর্নেল মুনরো জানতেন না কানপুরে নানা সাহেবের নেতৃত্বে কি ঘটেছিলো! সেখানে মারা যান তাঁর স্ত্রী লরা !
নানা সাহেব জানতে পারলেন তাঁর গুরুত্ত্বপূর্ণ সহযোগী রানীর মৃত্যুর জন্যে দায়ী কে, কর্নেল মুনরোও জানতে পারলেন তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর জন্যে দায়ী কে। দুজনেই শপথ নিলেন প্রতিশোধের।
১৮৬৬ সালের কলকাতা, তখনও ভারতে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের স্মৃতি ফিকে হয় নি। তার একটা প্রধান কারণ নানা সাহেবের অন্তর্ধান! তাঁর মৃত্যুর খবর যদিও ছড়িয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল স্যার এডওয়ার্ড মুনরো তা বিশ্বাস করেন না। মুনরো এবং একদল ইউরোপীয় ভারত জুড়ে যাত্রার পরিকল্পনা করছেন। এই দলে রয়েছেন ব্যাংকস, একজন রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার; ফরাসি অভিযাত্রী ম্যাকলার; একজন শিকারী, ক্যাপ্টেন হুড, এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল স্যার এডওয়ার্ড মুনরো। তাদের সাথে রয়েছে মুনরোর বিশ্বস্ত সার্জেন্ট ম্যাকনিল; ক্যাপ্টেন হুডের বিশ্বস্ত ভৃত্য এবং সহ-শিকারী ফক্স, ফরাসি বংশোদ্ভূত একজন রাঁধুনি মন্সিয়র প্যারাজার্ড; ব্রিটিশ ইঞ্জিন চালক স্টোর, সহকারী চালক কালাউথ, এবং কর্নেল মুনরোর বিশ্বস্ত গুর্খা ভৃত্য গৌমি।
তাঁরা যাত্রা করছেন কিভাবে? না ট্রেনে বা ঘোড়ার পিঠে করে না। তাদের সঙ্গে আছে ইঞ্জিনিয়ার ব্যাংকসের বেহেমথ! এক লোহার তৈরী হাতি, যে চলে স্টিম ইঞ্জিনে। উঁচিয়ে থাকা লোহার শুঁড়, লোহার দেহের বেহেমথ যখন ধোঁয়া ওগরাতে ওগরাতে দুখানি বগিকে টেনে নিয়ে যায়, সে দৃশ্য দেখতে লোক ভেঙে পড়ে!
এডওয়ার্ড মুনরোর এই যাত্রায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্য একটাই। তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর বদলা নেওয়া, যিনি মারা গিয়েছিলেন ১৮৫৭ সালের কানপুরের লড়াইয়ে, আর তার জন্যে তাঁকে খুঁজে বার করতে হবে নানা সাহেবকে!
শুরু হয় এক লোমহর্ষক যাত্রা, যার পদে পদে বিপদ। ভাগ্য নয় বছর পরে কি আবার মুখোমুখি করবে নানা সাহেব এবং কর্নেল মুনরোকে?
পন্নিয়িন সেলভান - প্রথম খন্ড

কল্কি কৃষ্ণমূর্তি, পন্নিয়িন সেলভান স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তার নিজের পত্রিকাতে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করেছিলেন যা দীর্ঘ চার বছর ধরে চলেছিল। তামিল ইতিহাসের এই স্বর্ণযুগের কাহিনী অত্যন্ত জনপ্রিয় হযেছিল, সাপ্তাহিক সংখ্যা সংগ্রহ করার জন্যে লোকে ভোর থেকে রেলস্টেশনে লাইন দিত।
এক হাজার দুশো বছর আগে, রাজা বিজয়ালয় চোল (846 – 871 অব্দ) যখন পল্লব রাজ্য জয় করেন এবং থাঞ্জাভুরকে চোলদের রাজধানী শহর হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন তখন থেকেই দক্ষিণ ভারতের চোলরা রাজনৈতিক ভাবে শিখরে উঠেছিল। এরা ইতিহাসে পরিচিত ইম্পেরিয়াল চোল নামে। ইম্পেরিয়াল চোল যুগকে দক্ষিণ ভারতীয় ইতিহাসে একটি স্বর্ণযুগ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
একসময় যখন চোলসম্রাট সুন্দর চোল থাঞ্জাভূরে অসুস্থ এবং তার দুই পুত্রই দূরে, যুবরাজ আদিত্য চোলরাজ্যের উত্তরে কাঞ্চিতে যুদ্ধরত এবং আরুলমোঝি দক্ষিণে সমুদ্রপারের এলংগাইতে, রাজধানীতে এক রহস্যময় নারী নন্দিনী শুরু করল এক সাম্রাজ্যের পতনের ষড়যন্ত্র, তার ঊর্ণজালে আবদ্ধ চোলরাজ্যের সবথেকে ক্ষমতাশালী অভিজাত বংশ। রাজকুমারী কুন্দাভাই একাকীনী রাজধানীতে, তিনি হাল ছেড়ে দিলেন না কিন্তু তাঁর দরকার তাঁর ভাইদের।
এখান থেকেই আমাদের গল্পের শুরু !
প্রফেসর দিবাকর সোম

অতিপ্রাকৃত আবহের সাথে ইতিহাসের সম্পর্কটি বেশ আকর্ষণীয়। তাই পুরনো কালের নানা যাপন মুহূর্তের কয়েক পশলা বৃষ্টিধারা যদি সমকালের মৃত্তিকাকে ফলবতী করতে ঝরে পড়ে তাহলে বিষয়টা আর একঘেয়ে থাকে না বলেই মনে করি।
প্রফেসর দিবাকর সোমের ৬টি গল্পের পরম্পরা অন্তত এই সময়সারণীর বুকে অবগাহনটিকেই তাই আরেকবার ঝালিয়ে নিতে সুযোগ করে দেয়।
ইতিহাসপ্রেমী ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে থেকে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ ভদ্রলোকটি ওঁর কর্মসূত্রে দেখা ইতিহাসকে অন্তরে অনুভব করতে গিয়ে বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখে পড়েন ও একেকটি আশ্চর্যকর ও অনন্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। আর থেকেই ভরিয়ে তোলেন অনাস্বাদিত কয়েকটি গল্পের ভান্ডার। সেগুলো পরিবেশিত হয়েছে সাপ্তাহিক আড্ডাচক্রে কয়েকটি মুগ্ধপ্রাণ তরুণদলের এক ঘরোয়া চেনা আসরে। সেখানে গল্প শোনার আনন্দ ক্রমে জমে উঠেছে ইতিহাসের অচেনা অজানা রং মেখে।
মহাভারত - কালীপ্রসন্ন সিংহ অনূদিত - পঞ্চম খন্ড

কালীপ্রসন্ন সিংহের সব থেকে বড় কীর্তি হল মহাভারতের অনুবাদ। তাঁর সম্পাদনায়, আঠারো পর্ব মহাভারত গদ্য আকারে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে, যা এখনও ব্যাপকভাবে পঠিত এবং প্রকাশিত হয়। পুরো প্রকল্পটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তদারকিতে হয়েছিল। এই অনুবাদটি ১৮৫৮ থেকে ১৮৬৬ এর ভিতরে প্রকাশিত হয়েছিল। সমগ্র অনুবাদকরণ প্রক্রিয়াটি উত্তর কলকাতার বরাহনগরে অবস্থিত সারস্বতাশ্রম নামে একটি বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছিল।
টানা আট বছর ধরে উদয়-অস্ত পরিশ্রমের পর ১৮৬৬ সালে শেষ হল অনুবাদের কাজ।
কালীপ্রসন্ন বিনামূল্যে মহাভারত বিতরণ করেছিলেন। এই বিপুল খরচ বহন করতে তিনি তাঁর বিভিন্ন মহল অর্থাৎ নিজস্ব মালিকানাধীন জমি বিক্রয় করে দিয়েছিলেন। সেই সময়ে পুরো আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই মহাভারত বিতরণে।
উদ্দেশ্য একটাই, দেশের সাধারণ মানুষ ভারতের এই মহান মহাকাব্যকে জানুক, নিজের দেশের অসামান্য সাহিত্যকীর্তির সঙ্গে পরিচিত হোক !
দ্যা লাভ কিলার্স

মাফিয়া সর্দার এনজিও বাসালিনো কাউকে তার পাকা ধানে মই দিতে দেয় না। তাই বিপলবী মার্গারেট ব্রাউনের ডাকে যখন যৌনকর্মীরা এক এক করে মূলস্রোতে ফিরে যাচ্ছে, এনজিও তাকে সরিয়ে দিল। তিনজন আকর্ষণীয় মহিলা এনজিওর তিন ছেলেকে কব্জা করে তার পতন চাইল। আপাত-নীরিহ, সংবেদনশীল বেথ নিউ ইয়র্কে ফ্র্যাঙ্কের কাছে যাবে; কামুক আন্ডারগ্রাউন্ড ফিল্মস্টার রিও লন্ডনে অ্যাঞ্জেলোর সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করবে; আর অপরূপা সুন্দরী, ফ্যাশন সচেতন, ভ্রমণ বিলাসী লারা লস অ্যাঞ্জেলেসে গিয়ে নিককে ফাঁদে ফেলবে। কিন্তু এটা খুব বিপজ্জনক এক খেলা। কামনা, আকাঙ্খা আর হত্যা চক্রান্তের এক মোহময় জাল বেছানো রয়েছে। আর আদিম, নিষিদ্ধ সেই প্রথম রিপুর তাড়না, কারণ বাসালিনোর তিন ছেলেদের জন্য তিন মহিলারই অস্ত্র এক…
দেশ দেশান্তর (দেশ-বিদেশের কবিতার অনুবাদ)

শতঞ্জিৎবাবু প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের ছাত্র, প্রবাসী, এখন অবসর জীবন কাটাচ্ছেন। তাঁর ভালোলাগা বিষয় - কবিতা। রুচি রাজনীতি ও সামাজিক বিষয়ে । এই ভুবনগ্রামে মানুষ সাগর পাহাড় কি ভাষা - যার দ্বারাই আপাত গন্ডিবদ্ধ থাকুক না কেন, মানুষের জীবনযাপন, কষ্ট, আশা, নিরাশা, পীড়ন, অন্যায়, ভালোবাসা - এ ইসব কিন্তু প্রায় একরকম। আর কবিতার ভাষা সর্বজনীন, তা দেশকালের গন্ডিতে আবদ্ধ না। তাই ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল বা বিদেশ - কবিদের প্রকাশ সমধর্মী - শতঞ্জিৎবাবু তাঁর রুচিমতো এরকমই কিছু কবিতার বাংলা অনুবাদ করেছেন।
আশা করি পাঠকদের ভালো লাগবে।
ঠাকুর বাড়ির লেখা

জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে কয়েক প্রজন্ম ধরে সাহিত্যের ধারা বহমান ছিল, রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও তাঁর পিতা, দাদা, দিদি এবং অন্যান্য পরিজন সাহিত্য চর্চা করেছেন । দেবেন্দ্রনাথের ব্রাহ্মধর্মের ওপরের লেখাগুলি, জ্ঞানদানন্দিনী দেবী এবং সত্যেন্দ্রনাথের স্মৃতিকথা, স্বর্ণকুমারী দেবী রচিত দুটি উপন্যাস, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ এবং অনুবাদ, এই সবই পাবেন এই ই-বইটিতে।
চ্যান্সেস- জ্যাকি কলিন্স
