বাংলা ই-বই
অন্ধ প্রহর

দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র ছেলেকে ব্ল্যাকমেল করতে গিয়ে নিজেদেরই বিপদ ডেকে আনে দুই যুবক। ঘটনার ক্রমণিকায় তাদের সাথে জড়িয়ে পড়ে আরো অনেকেই। একটি মিথ্যে যেভাবে একাধিক মিথ্যের জন্ম দেয়, ঠিক একইভাবে একটি অপরাধের প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় আরো অপরাধের। কিছু মানুষের ভুল-ভ্রান্তি, লোভ-লালসা আর অপরাধের বিস্তৃত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় এক জটিল সমীকরণের। যে-সমীকরণের সমাধান নিহিত আছে এক অন্ধ প্রহরে।
অন্ধকার নামছে

ভয় কী? ভয় কি একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, নাকি পুরোটাই মনস্তাত্ত্বিক? মানুষ আসলে ভয় পায় কেন? কী কী জিনিসে বা কী কী কারণে ভয় পায় মানুষ ?
অশুভ কোনও অজানা আশঙ্কা থেকে 'ভয়'–এর সৃষ্টি। কিন্তু মানুষ মাত্রেই অন্ধকারকে ভয় পায়, অস্বস্তি বোধ করে, মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এর মূল কারণ আমাদের জিনে মিশে আছে প্রাচীন অন্ধকার, আদিম অন্ধকারে বসবাসের অভিজ্ঞতা।
সৃষ্টির ঊষালগ্নে মানুষ ছিল বড় অসহায়। গুহা বা অন্য প্রাকৃতিক আধারে তাদের নিতে হত আশ্রয়। কিন্তু আগুনের আবিষ্কার সবকিছু বদলে দিল। আগুন অজানা অন্ধকারকে চিনতে সাহায্য করল। সভ্যতা এগোল। তার সাথে সাথে এগোল মানুষের চিন্তাভাবনা, মানুষ আরও পরিণত হতে থাকল। মানুষ কল্পনা করতে শিখল, অব্যাখ্যাতক লৌকিকতার ঊর্ধ্বে উঠে বুঝে নিতে চাইল। গল্প-কাহিনিরা জন্ম নিল। তার হাত ধরাধরি করে এল সাহিত্য। আর সাহিত্যের একটা বড় অংশ অধিকার করে থাকল ভয়, ভয়ের গল্প, ভূতের গল্প, অলৌকিক গল্প। আসলে, এই বিশ্বচরাচর - সৃষ্টির আদিম কথাটাই হল ভয়। সমস্ত প্রাণী জগতের অন্তরের মর্ম জগতে অবস্থান করে ভীতি।
এই রকম গল্প পড়ার অভিজ্ঞতাই আলাদা, আর সেইসব গল্প যদি হয় বিশ্বের খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের, তাহলে তো সোনায় সোহাগা!
বাছাই করা বিশ্ব সাহিত্যের প্রতিনিধিত্বমূলক কিছু অন্ধকার গল্পের অনুবাদ করেছেন মিতা ঘোষ। 'অন্ধকার নামছে' - সেই অনুপম গল্পগুলির বাংলা সংকলন।
অন্যরুপের সন্ধানে

সান্ধ্য আড্ডায় স্ট্র্যান্ড রোজকের মতোই প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে। কচিকাঁচা থেকে কলেজ পড়ুয়া, এযুগের প্রেমিক প্রেমিকা থেকে অশীতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই নিজের নিজের গল্পে মজেছে। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ফাস্ট ফুডের দোকান গুলোয় অবিশ্বাস্য রকমের ভিড়। রাস্তা দিয়ে সশব্দে ছুটে চলেছে হরেক রকমের গাড়ি। এই চিত্রেই স্পষ্ট, ইতিহাস প্রসিদ্ধ শহরটির গতিময়তা একটুও হ্রাস পায়নি, গঙ্গাতীরের মধুর হাওয়া শুধু অনিরুদ্ধের মন ছুঁতে পারেনি। ফ্যাকাসে মুখ করে প্রবাহমান নদীর দিকে তাকিয়ে, ভেবে চলেছে ইশিকার কথা।
অনিরুদ্ধ আর ইশিকার যাত্রা তাদের কোথায় নিয়ে গেলো তাই নিয়ে এই উপন্যাস।
অপরিচিত এবং ...

অনেক আগে মোগল-পাঠানদের আমলে বর্ধমানের নাম লোকের মুখে মুখে ফিরত। যে রাজা রাজবল্লভ সেনের সাম্রাজ্য একদিন গৌড়-বঙ্গের ইতিহাসকে দাপট ও কৃতিত্বের সাথে শাসন করে গেছে তাকে বঙ্গালের মানুষ আজ ভুলতে বসেছে। ইতিহাসের পালাবদল প্রতিটি প্রজন্মান্তরে একবার বদলে গেলেও তার শিকড়ের টানটি অন্তত চিরকালীন। সেন রাজাদের রাজবংশ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম দিকের মধ্যযুগীয় একটি হিন্দু রাজবংশ হিসাবেই বিখ্যাত ছিল, যার সুনাম বঙ্গদেশের মাটীতেও একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত একদা বজায় ছিল।
আজ সে সব প্রাচীন ইতিহাস গৌড়-বঙ্গের আকাশে বাতাসে কান পাতলে শোনা যাবেনা। এমনকি ৯০০ শতকেরও পূর্বে তখন বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক পাল রাজাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে করতেই একদিন গোলকপতির এই বীরাচারী পূর্বজরা মিলে প্রতিষ্ঠিত পাল রাজাদেরকে পরাজিত করে প্রখ্যাত শশাঙ্কদেব শাসিত গৌড়ের মাটিতে সেদিন সেন বংশের তরবারিকে প্রোথিত করেন। সেই সময়েরই একটি ঐতিহাসিক কাহিনী এটি।
অপ্রাকৃত সমগ্র

রয়েছে একচল্লিশটি গল্প : নব-বৃন্দাবন, মেঘমল্লার,তিরোলের বালা, ছেলেধরা, বোমাইবুরুর জঙ্গলে, সোনাকরা যাদুকর, খোলা দরজার ইতিহাস,পথিকের বন্ধু, অভিশাপ, অভিশপ্ত, হাসি, প্রত্নতত্ত্ব,রহস্য, আরক, ছায়াছবি, রঙ্কিনীদেবীর খড়গ, মেডেল, পেয়ালা, ভৌতিক পালঙ্ক, গঙ্গাধরের বিপদ, মশলা-ভূত, কাশী কবিরাজের গল্প, বিরজা হোম ও তার বাধা, মায়া, টান, বউ চণ্ডীর মাঠ, খুঁটি দেবতা, পৈতৃক ভিটা, অশরীরী, বরো বাগদিনী, বাঘের মন্তর, নুটি মন্তর, কবিরাজের বিপদ, মাতু পাগলি - তারানাথ তান্ত্রিকের গল্প, মধুসুন্দরীদেবী - তারানাথ তান্ত্রিকের দ্বিতীয় গল্প, নাস্তিক, দাতার-স্বর্গ, স্বপ্ন-বাসুদেব, শেষ লেখা, পিদিমের নিচে, উডুম্বর এবং একটি উপন্যাস : দেবযান
অপ্সরা

‘অপ্সরা’ সেলফ-মোটিভেটেড এবং সেলফ-গাইডেড এক মেয়ের কাহিনি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সহজ-সরল মেয়ে হৃদির নাম কেন অপ্সরা হলো এবং পরবর্তীতে সেই নামেই কেন সে পরিচিত হতে চাইল, তার পেছনেও রয়েছে দৃঢ় প্রত্যয় ও কঠিন সংকল্পের গল্প। সহজ-সরল-প্রণোচ্ছ্বল অপ্সরার জীবনে এক পর্যায়ে আঘাত হানে ভয়াবহ কষ্টের টাইফুন। তবে নিজগুণে সেই শোককেই শক্তিতে কনভার্ট করে অপ্সরা! বেগুনি রঙের তেজস্বিতা এই রূপান্তর প্রক্রিয়ার প্রধান নিয়ামক। বেগুনি রঙ দেখলে তার ভেতরের শোকের অণুগুলো যেন শক্তির অণুতে রূপান্তরিত হয়! রহস্যেঘেরা ম্যাজিকাল চরিত্রের অধিকারী অপ্সরা হাসলে তার চারপাশের প্রকৃতি ও জীবনও যেন হেসে ওঠে! আবার, অপ্সরা কাঁদলে চতুর্পাশও যেন কেঁদে ওঠে! শঠতা, কপটতা, অন্যায়, অবিচার প্রতিহত করার শপথে বাংলার পথে অপ্সরার পথচলা।
অভ্যুদয়ের শার্লক হোমস্ সমগ্র, প্রথম খণ্ড– উপন্যাস

বহুদিন উৎসুক প্রতীক্ষার পর অবশেষে অসংখ্য শার্লক হোমস্ প্রেমীর জন্যে সুখবর। অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির থেকে প্রকাশিত সেই সাড়াজাগানো শার্লক হোমস্ সমগ্রের ই বই সংস্করণ।
১৯৮০ সালে প্রথম বাংলায় পূর্নাঙ্গ অনুবাদে শার্লক হোমস্ সমগ্র প্রকাশ করে অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির। দক্ষ অনুবাদকদের মূলানুগ ও সাবলীল অনুবাদ বিদগ্ধ পাঠক থেকে সাধারন পাঠক—সবার অকুণ্ঠ প্রশংসা কুড়োয়। কিন্তু তারপর দুর্ভাগ্যবশত বন্ধ হয়ে যায় অভ্যুদয়, সেইসঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় এই বইটির প্রকাশনা।
কিন্তু পাঠকের স্মৃতিতে চিরস্থায়ী হয়ে থেকে যায় এই বই, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় সে স্মৃতি! ফলে প্রথম প্রকাশের চল্লিশ বছর পরেও বইটির জনপ্রিয়তা এখনও অটুট। পাঠকের মুখে মুখে ফেরে এই বইটির কথা। অনেকেই চাইছিলেন বইটি যাতে নতুন করে প্রকাশ পায়। তাই সবার দাবিকে সম্মান জানিয়ে অভ্যুদয় প্রকাশ- মন্দির থেকে নব সাজে সজ্জিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করল শার্লক হোমস্ সমগ্র, প্রথম খণ্ড– উপন্যাস।
আসবে বাকি গল্পগুলোও !
অরণ্য জাতক

“যখন হারাবার কিছু থাকে না তখন জীবনটা যেন বন্ধনহীন হয়ে দেখা দেয়। অমিত সম্ভাবনা নিয়ে যার প্রগতি হচ্ছে, মসৃন পথে যে সদম্ভে ঝরঝর করে এগিয়ে যাচ্ছে, সে সদা পদস্খলনের ভয় পায়। সদ্য চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত দিয়ে আশু মুক্তিপ্রাপ্তির আশা নিয়ে অরণ্য আজ থেকে ঊনপঞ্চাশ বায়ুবেগে চলতে থাকবে। “
অরণ্য হয়ত বা আপনিই, যদি আপনার নিজের কৈশোরের তারুণ্যের যৌবনের দিন গুলির কথা আপনি স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে। কেমন ছিল কোন সদ্য কিশোরীর মুখের অভিঘাত, কেমন ছিল কোন তরুণীর হাসিমুখের দিকে চেয়ে থাকা দিনগুলি… কিন্তু শুধু প্রেম ই তো নয়, সদ্য চাকরিতে ঢোকার পর কি সামনাসামনি হতে হয়নি নানা চ্যালেঞ্জের…এই সব নিয়েই অরণ্য জাতক , আরবান লিজেন্ড নয়, আমার আপনার জীবনের ই কাহিনি ।
অলাতশান্তি

আগে মহাকাব্য লেখা হতো, বিরাট সেই মহাকাব্যের কাল ও স্থানগত প্রেক্ষাপট। সময় এবং ভঙ্গিমা বদলেছে। আজ মহাকাব্য পরিণত হয়েছে উপন্যাসে। এটিও সেরকম এক প্রচেষ্টা!
এই উপন্যাসটি পাঠের এক মনোগত প্রস্তুতি প্রয়োজন। প্রথম অধ্যায় অর্থাৎ অথাতো ভিক্ষুককথা আসলে ভারতের মহাযানি থেকে হীনযানি বৌদ্ধধর্মে প্রত্যাবর্তন। এর সঙ্গে টিকে থাকবে তান্ত্রিক বজ্রযান যা প্রায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে চলেছিলো তখন।
এরপরের অধ্যায়ে অর্থাৎ অথাতো তৃতীয় পথ-এ এই মহাযান এবং সংশ্লিষ্ট বজ্রযান তান্ত্রিকতার সপক্ষে আসবেন আচার্য নাগার্জুন। সবকিছুই যে প্রতীত্যসমুৎপাদ তথা পারস্পরিক সাপেক্ষতা, একটি ছাড়া যে অপরটির অস্তিত্ব নেই, এটাই শূন্যতা।পথ এবং পথিক,গতি এবং স্থিতি,সংসার এবং নির্বাণ যে এই পারস্পরিক সাপেক্ষতার কারণেই স্বভাবশূন্য ও এক, এটাই অদ্বয় শূন্যতার অনুভব। নাগার্জুনের এই উপস্থিতি ছাড়া আজ বেদান্তকে আমরা যেভাবে বুঝি, বৌদ্ধদর্শনকে, তন্ত্রদর্শনকে যেভাবে বুঝি, তা সম্ভব হতো না কখনো।
পরের অধ্যায়ে অর্থাৎ অথাতো জন্মবৃত্তান্ত-তে বোঝা যাবে, হীনযান মহাযান কিছুই নেই আর ভারতে, আছে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক তান্ত্রিক বজ্রযান আর সেই প্রেক্ষিতে শঙ্করাচার্যের জন্ম।
এরপরের অধ্যায় অর্থাৎ অথাতো হননশৈলী-তে শঙ্কর দিগ্বিজয় বর্ণনা যা মূলত শুরু হবে কুমারিল ভট্টের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকারের পর থেকেই। বড়োই আশ্চর্য সেই সাক্ষাৎকার।
শেষ অধ্যায় অর্থাৎ অথাতো মৃতদেহে প্রবেশ, সেই শরীর ত্যাগ করে নিজের দীক্ষা শরীরে ফিরে যাওয়ার আকুতি ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে, তখন হীনযান, মহাযান, কামনাসিদ্ধ বজ্রযান সবই শঙ্করের কাছে বিজ্ঞানবাদে লোপ পেয়েছে যার উপলব্ধি তাঁর হয়েছিলো মাত্র বারোটি মন্ত্রে রচিত মাণ্ডুক্য উপনিষদের উপরে রচিত আচার্য গৌড়পাদের মাণ্ডুক্যকারিকা পাঠ থেকেই যা পরবর্তী কালে খ্যাত হবে অদ্বৈত বেদান্ত নামে।
অ্যাডভেঞ্চার সমগ্র

কে না এডভেঞ্চার ভালোবাসে? আর তা যদি হয় এই চিরপরিচিত সমতল বাংলার ভূমি থেকে বহু বহু দূরে গহীন, বন্য, সভ্যতার আলোকহীন আফ্রিকায়, mountain of moon এ। বিভূতিভূষণ লিখেছিলেন এরকম কিছু এডভেঞ্চার যার সবকটিতেই আছে পাড়াগেঁয়ে বাঙালি। অত্যন্ত স্বাদু এই উপন্যাস গুলি প্রিয় সব বয়সেরই।