বাংলা ই-বই
দেশ দেশান্তর (দেশ-বিদেশের কবিতার অনুবাদ)

শতঞ্জিৎবাবু প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের ছাত্র, প্রবাসী, এখন অবসর জীবন কাটাচ্ছেন। তাঁর ভালোলাগা বিষয় - কবিতা। রুচি রাজনীতি ও সামাজিক বিষয়ে । এই ভুবনগ্রামে মানুষ সাগর পাহাড় কি ভাষা - যার দ্বারাই আপাত গন্ডিবদ্ধ থাকুক না কেন, মানুষের জীবনযাপন, কষ্ট, আশা, নিরাশা, পীড়ন, অন্যায়, ভালোবাসা - এইসব কিন্তু প্রায় একরকম। আর কবিতার ভাষা সর্বজনীন, তা দেশকালের গন্ডিতে আবদ্ধ না। তাই ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল বা বিদেশ - কবিদের প্রকাশ সমধর্মী - শতঞ্জিৎবাবু তাঁর রুচিমতো এরকমই কিছু কবিতার বাংলা অনুবাদ করেছেন।
আশা করি পাঠকদের ভালো লাগবে।
প্রফেসর দিবাকর সোম

অতিপ্রাকৃত আবহের সাথে ইতিহাসের সম্পর্কটি বেশ আকর্ষণীয়। তাই পুরনো কালের নানা যাপন মুহূর্তের কয়েক পশলা বৃষ্টিধারা যদি সমকালের মৃত্তিকাকে ফলবতী করতে ঝরে পড়ে তাহলে বিষয়টা আর একঘেয়ে থাকে না বলেই মনে করি।
প্রফেসর দিবাকর সোমের ৬টি গল্পের পরম্পরা অন্তত এই সময়সারণীর বুকে অবগাহনটিকেই তাই আরেকবার ঝালিয়ে নিতে সুযোগ করে দেয়।
ইতিহাসপ্রেমী ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে থেকে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ ভদ্রলোকটি ওঁর কর্মসূত্রে দেখা ইতিহাসকে অন্তরে অনুভব করতে গিয়ে বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখে পড়েন ও একেকটি আশ্চর্যকর ও অনন্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। আর থেকেই ভরিয়ে তোলেন অনাস্বাদিত কয়েকটি গল্পের ভান্ডার। সেগুলো পরিবেশিত হয়েছে সাপ্তাহিক আড্ডাচক্রে কয়েকটি মুগ্ধপ্রাণ তরুণদলের এক ঘরোয়া চেনা আসরে। সেখানে গল্প শোনার আনন্দ ক্রমে জমে উঠেছে ইতিহাসের অচেনা অজানা রং মেখে।
মহাভারত - কালীপ্রসন্ন সিংহ অনূদিত - পঞ্চম খন্ড

কালীপ্রসন্ন সিংহের সব থেকে বড় কীর্তি হল মহাভারতের অনুবাদ। তাঁর সম্পাদনায়, আঠারো পর্ব মহাভারত গদ্য আকারে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে, যা এখনও ব্যাপকভাবে পঠিত এবং প্রকাশিত হয়। পুরো প্রকল্পটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তদারকিতে হয়েছিল। এই অনুবাদটি ১৮৫৮ থেকে ১৮৬৬ এর ভিতরে প্রকাশিত হয়েছিল। সমগ্র অনুবাদকরণ প্রক্রিয়াটি উত্তর কলকাতার বরাহনগরে অবস্থিত সারস্বতাশ্রম নামে একটি বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছিল।
টানা আট বছর ধরে উদয়-অস্ত পরিশ্রমের পর ১৮৬৬ সালে শেষ হল অনুবাদের কাজ।
কালীপ্রসন্ন বিনামূল্যে মহাভারত বিতরণ করেছিলেন। এই বিপুল খরচ বহন করতে তিনি তাঁর বিভিন্ন মহল অর্থাৎ নিজস্ব মালিকানাধীন জমি বিক্রয় করে দিয়েছিলেন। সেই সময়ে পুরো আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই মহাভারত বিতরণে।
উদ্দেশ্য একটাই, দেশের সাধারণ মানুষ ভারতের এই মহান মহাকাব্যকে জানুক, নিজের দেশের অসামান্য সাহিত্যকীর্তির সঙ্গে পরিচিত হোক !
পন্নিয়িন সেলভান - প্রথম খন্ড

কল্কি কৃষ্ণমূর্তি, পন্নিয়িন সেলভান স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তার নিজের পত্রিকাতে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করেছিলেন যা দীর্ঘ চার বছর ধরে চলেছিল। তামিল ইতিহাসের এই স্বর্ণযুগের কাহিনী অত্যন্ত জনপ্রিয় হযেছিল, সাপ্তাহিক সংখ্যা সংগ্রহ করার জন্যে লোকে ভোর থেকে রেলস্টেশনে লাইন দিত।
এক হাজার দুশো বছর আগে, রাজা বিজয়ালয় চোল (846 – 871 অব্দ) যখন পল্লব রাজ্য জয় করেন এবং থাঞ্জাভুরকে চোলদের রাজধানী শহর হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন তখন থেকেই দক্ষিণ ভারতের চোলরা রাজনৈতিক ভাবে শিখরে উঠেছিল। এরা ইতিহাসে পরিচিত ইম্পেরিয়াল চোল নামে। ইম্পেরিয়াল চোল যুগকে দক্ষিণ ভারতীয় ইতিহাসে একটি স্বর্ণযুগ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
একসময় যখন চোলসম্রাট সুন্দর চোল থাঞ্জাভূরে অসুস্থ এবং তার দুই পুত্রই দূরে, যুবরাজ আদিত্য চোলরাজ্যের উত্তরে কাঞ্চিতে যুদ্ধরত এবং আরুলমোঝি দক্ষিণে সমুদ্রপারের এলংগাইতে, রাজধানীতে এক রহস্যময় নারী নন্দিনী শুরু করল এক সাম্রাজ্যের পতনের ষড়যন্ত্র, তার ঊর্ণজালে আবদ্ধ চোলরাজ্যের সবথেকে ক্ষমতাশালী অভিজাত বংশ। রাজকুমারী কুন্দাভাই একাকীনী রাজধানীতে, তিনি হাল ছেড়ে দিলেন না কিন্তু তাঁর দরকার তাঁর ভাইদের।
এখান থেকেই আমাদের গল্পের শুরু !
ঠাকুর বাড়ির লেখা

জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে কয়েক প্রজন্ম ধরে সাহিত্যের ধারা বহমান ছিল, রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও তাঁর পিতা, দাদা, দিদি এবং অন্যান্য পরিজন সাহিত্য চর্চা করেছেন । দেবেন্দ্রনাথের ব্রাহ্মধর্মের ওপরের লেখাগুলি, জ্ঞানদানন্দিনী দেবী এবং সত্যেন্দ্রনাথের স্মৃতিকথা, স্বর্ণকুমারী দেবী রচিত দুটি উপন্যাস, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ এবং অনুবাদ, এই সবই পাবেন এই ই-বইটিতে।





