শিশু-কিশোর
অ্যাডভেঞ্চার সমগ্র

কে না এডভেঞ্চার ভালোবাসে? আর তা যদি হয় এই চিরপরিচিত সমতল বাংলার ভূমি থেকে বহু বহু দূরে গহীন, বন্য, সভ্যতার আলোকহীন আফ্রিকায়, mountain of moon এ। বিভূতিভূষণ লিখেছিলেন এরকম কিছু এডভেঞ্চার যার সবকটিতেই আছে পাড়াগেঁয়ে বাঙালি। অত্যন্ত স্বাদু এই উপন্যাস গুলি প্রিয় সব বয়সেরই।
সুকুমার রায় কবিতা সংকলন

বাংলা ভাষায় ননসেন্স ছড়ার প্রবর্তন করেন সুকুমার রায়। তাঁর লেখা বিখ্যাত “ননসেন্স ছড়া” সংকলন আবোল তাবোল, ১৯২৩ সালে, সুকুমারের মৃত্যুর পর ইউ রায় এন্ড সন্স থেকে প্রকাশিত হয়। এই ‘আবোল তাবোল’ শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গ নে নিজস্ব জায়গার দখল করে নেয়। বইরাগ পাবলিকেশন সুকুমারের ছড়া ও কবিতা নিয়ে প্রকাশ করল এই ই-বুক।
সংক্ষিপ্ত মহাভারত

মহাভারতের এত সব চরিত্র, দোষে-গুণে, ভালোয়-মন্দে মেশানো , মহাভারতের ঘটনাবলীর বিশালতা জটিলতা ,যুক্তি, নৈতিকতা, তা থেকে সৃষ্ট জটিল সব ঘটনাবলি, সেসব ঘটনাবলীর আরও জটিল ব্যাপ্তি , এই নিয়ে এই মহাকাব্য পড়তে গিয়ে মহাভারত পড়তে গিয়ে বয়স্কজনেরাই পথ হারিয়ে ফেলেন।
সেই কাহিনী অল্পবয়স্কদের জন্যে খুব সরলভাবে উপস্থাপন উপেন্দ্রকিশোর করেছেন সাফল্যের সাথে, কিন্তু এই বই শুধু অল্পবয়স্কদের জন্যেই নয় ! আমাদের মনে জীবনে মহাভারত এমন ভাবে জড়িয়ে আছে আর এত এত বিশ্লেষণ অহর্নিশ হয়ে চলেছে যে আমরা অনেকেই হয়তো খেয়াল করিনা যে সমগ্র মহাভারত একবারও পড়েই দেখা হয় নি , সেই ক্ষেত্রেও চট করে মহাভারতের ঘটনাবলী আরেকবার পড়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বড়দের জন্যেও , কারণ উপেন্দ্রকিশোর কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে বাদ দেন নি।
ফেলুদা ফ্যানফিকশন

ফ্যান ফিকশন ধারণাটা বাংলাসাহিত্যে কিছুটা নতুন, তবে এখন তা বেশ ভালই জনপ্রিয়তা পেয়েছে , এই ধারার সাহিত্যে কোন জনপ্রিয় চরিত্রকে নিয়ে মূল লেখক ব্যতীত উৎসাহী পাঠকরা গল্প লিখে ফেলেন। বাঙালী পাঠককূলে সবথেকে বেশী জনপ্রিয় গোয়েন্দাচরিত্রগুলোর অন্যতম ফেলুদা, সুতরাং তাকে নিয়ে যে ফ্যান ফিকশন লেখা হবে তাতে আর আশ্চর্য কি, বাজারে এরকম কিছু লেখা এসে গেছে, সেখানেই যোগ হলো আরো তিনটে গল্প।
এখন এধরণের লেখা ফ্যান ফিকশন না প্যাস্টিশ তা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে, তবে আমরা তা স্থির করার ভার পাঠকের হাতেই তুলে দিলাম।
পঞ্চামৃত

ছোটদের গল্প লেখা যে ছোটোখাটো ব্যাপার না তা আমরা জানি কিন্তু তা সত্ত্বেও সে বই যখন অলোকবাবুর লিখিত হয় তখন তার ব্যঞ্জনা অন্যরকম হতে বাধ্য। অলোকবাবু পরিচিত 'সর্ষে তিসির খেত' এবং 'আশ্বিনের শিউলি' এই বই দুটোর জন্যে। ওনার জঁর হচ্ছে কৌতুকে মোড়া সামাজিক এবং সম্পর্কের গল্প, লেখার মূল রস স্নিগ্ধ কৌতুক। আর সেই রসই তিনি এনেছেন এই ছোটদের গল্পে , নিখাদ চেনাজানা আটপৌরে চারপাশ থেকে তিনি অক্লেশে চলে যান বাঘমামার গল্পে কি গুপ্তধনের খোঁজে ।
এই বইটিতে সোৎসাহে যোগদান করেছে কয়েকটি বাচ্চা, প্রচ্ছদের ছবি থেকে ভেতরের ছবি সব তাদেরই আঁকা। বইটিতে ছবি এঁকেছে - শরণ্য সিনহা, দেবোপমা পট্টনায়ক, ঐশিক গুপ্ত, চৈত্রীজা রায়, অর্ণব সেনগুপ্ত এবং ইরাবতী ব্যানার্জী।
অনুরোধ রইল আপনার ঘরের বাচ্চার হাতের মোবাইল বা ট্যাবলেট কেড়ে না নিয়ে তাদের নিয়ে আসুন ই-বুকের দুনিয়াতে, তারা এই বই পড়ুক, তাদের কল্পনা জাগ্রত হোক।
আর আপনি?
জানাই তো আছে - 'ঘুমিয়ে আছে সব শিশুই তাদের পিতামাতার অন্তরে', আপনিও নিজের মধ্যে সংগোপনে লুকিয়ে রাখা শিশুটিকে পড়তে দিন এই একই বই।
মেঘকেতন

“মেঘকেতন” পরিণতমনা পাঠক-পাঠিকাদের জন্য রচিত “রূপন্যাস”( রূপকথা - উপন্যাস )। এই রূপন্যাসের বৈশিষ্ট্য এই যে , এর মধ্যে রাজা - রাণী, রাজপুত্র - রাজকন্যা , দানব ইত্যাদি থাকলেও প্রচলিত রূপকথায় সব কিছু আমরা যেভাবে ঘটতে দেখি , এখানে সেভাবে ঘটে না। অন্য রূপকথা শুধুই দেখায় আর শোনায়। ”মেঘকেতন”তার সঙ্গে ভাবাবেও , এই আমাদের ধারণা। পাঠক - পাঠিকা সজাগ এবং মনস্ক থাকলে স্তরের পর স্তর অভিনবত্বের উন্মেষ ঘটবে তাঁদের দৃষ্টি এবং বোধের সম্মুখে।
এ কাহিনীতে রাজা এবং রাজপুত্রেরাই শুধু যুদ্ধ এবং অন্যান্য বিদ্যায় পারদর্শী নন। রাণী এবং রাজকন্যারাও তাঁদের যোগ্য সহযোগিনী। অন্য রূপকথায় রাজা - রাজপুত্রদের বীরত্বের কথা থাকে। এখানেও আছে। কিন্তু সেইসঙ্গে আছে তাঁদের ধীশক্তির পরীক্ষা , রহস্যের অবগুণ্ঠন উন্মোচনে দক্ষতার পরিচয়। আছে এমন আরও অনেক প্রাপ্তির সম্ভাবনা , যা পাঠক - পাঠিকা নিজেরাই আবিষ্কার করুন এমনটিই লেখকের সাগ্রহ আকাঙ্ক্ষা ।
চাঁদ ওঝার সপ্ত আশ্চর্য

চাঁদ ওঝা কে? বা, প্রশ্ন করা যেতে পারেঃ চাঁদ ওঝা কেন? দুটো প্রশ্নের উত্তর একই। এক ভ্রাতৃপ্রতিম সাহিত্যিকের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে হঠাৎ একদিন চাঁদ ওঝার আইডিয়ার জন্ম। সেই আলোচনাতেই ঠিক করা হয়, যেধরণের তন্ত্রসাধনাসংক্রান্ত হরর গল্প একশ্রেণির পাঠক প্রচুর পড়ছেন এবং কিছু লেখক প্রচুর লিখছেন, সেই লেখাকে ব্যঙ্গ করেই এক প্রতিনায়ককে খাড়া করা হবে, যার প্রবল প্রতাপে বাকি তান্ত্রিকরা থরহরিকম্প হয়ে যাবে। “শ্মশান-মশান কাঁপানো তান্ত্রিক” (ভাইটির কথা ধার করে বলি) এই চাঁদ ওঝা পারে না হেন কাজ নেই। তার গতিবিধি শুধু এই পৃথিবীতেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং তা ছড়িয়ে আছে গোটা মহাবিশ্বে এবং অন্যান্য প্যারালাল ইউনিভার্সেও।
পাঠক, ‘চাঁদ ওঝার সপ্ত আশ্চর্য’-এ আপনাকে স্বাগত।
ফেলুদা ২

ফ্যান ফিকশন ধারণাটা বাংলাসাহিত্যে যে খুব নতুন তা আর বলা যাবে না, এখন তা বেশ ভালই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাঙালী পাঠককূলে সবথেকে বেশী জনপ্রিয় গোয়েন্দাচরিত্রগুলোর অন্যতম ফেলুদা, তাকে নিয়ে এর আগেও একটি ফ্যানফিকশন লিখেছেন এই লেখক, সেই লেখা পাঠকমহলে সমাদৃত হওয়ার পর এবার এলো আরো দুটি ব ড় গল্প ফেলুদাকে নিয়ে।
The other side of Australia

This cute story is written by Orvo Reza, who is a class three (year three) student. He was born on November 2015, in Sydney, Australia. His origin lies in Bangladesh. He is younger of two brothers. Apart from attending school, rest of his time is spent on bicycle.
Book price is AUD $ 2.20 only.
সুকুমার - গল্প সংকলন

সুকুমার রায়, শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে "ননসেন্স ছড়া"র প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সন্তান এবং তার পুত্র খ্যাতিমান ভারতীয় চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। তার লেখা কবিতার বই আবোল তাবোল, গল্প হ-য-ব-র-ল, গল্প সংকলন পাগলা দাশু, এবং নাটক চলচ্চিত্তচঞ্চরী বিশ্বসাহিত্যে সর্বযুগের সেরা "ননসেন্স" ধরনের ব্যঙ্গাত্মক শিশুসাহিত্যের অন্যতম বলে মনে করা হয়, কেবল অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড ইত্যাদি কয়েকটি মুষ্টিমেয় ধ্রুপদী সাহিত্যই যাদের সমকক্ষ। মৃত্যুর বহু বছর পরেও তিনি বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয়তম শিশুসাহিত্যিকদের একজন। এখানে রইলো তাঁর গল্পগুলি।
সুকুমার - প্রবন্ধ সংকলন

সুকুমার রায়কে আমরা মূলতঃ বাংলা হাস্যকৌতুক শৈলীর পুরোধা বলেই জানি। কিন্তু তাঁর পরিচয় বহুমুখী। সন্দেশ পত্রিকার জন্যে তিনি লিখতেন ছোটদের উপযোগী অনেক প্রবন্ধ। তার বিষয়বস্তু ছিল অনেক ছড়ানো , বিজ্ঞান থেকে ইতিহাস সেগুলি ছুঁয়ে গেছে সব কিছুকেই। আর আজ এত বছর পরেও এগুলোর প্রাসঙ্গিকতা ফুরিয়ে যায় নি।
শিশু যখন বড় হয়ে উঠতে থাকে তখন এই বিপুল আর আশ্চর্য পৃথিবীর নানা রহস্য তাকে ভাবিয়ে তোলে , ঠিক এই সময়ের উপযোগী করেই লেখা হয়েছিল এই প্রবন্ধগুলি। তবে নিতান্ত বড় বয়সেও খারাপ লাগেনা পড়তে ।
আবোল তাবোল এবং হ য ব র ল

‘ছন্দনৈপুণ্য, কল্পনার শক্তি এবং চরিত্র উদ্ভাবনের ক্ষমতায়’ ‘আবোল তাবোল’ (১৯২৩) বাংলা শিশুসাহিত্যে শ্রেষ্ঠ কীর্তিগুলির অন্যতম। ‘যা উদ্ভট, যা আজগুবি’ তা এই পদ্যসংকলনের বিষয় হলেও অনেকেরই মতে, এর ভিতরে প্রচ্ছন্ন রয়ে যায় ‘গূঢ় অনেক সামাজিক অর্থের দ্যোতনা, সমকালীন প্রতিবিম্বন।’ কিন্তু একমাত্রিক রূপেকর ছাঁচে ফেলে দিয়ে এ লেখাগুলিকে ভাবতে গেলে খাটো করে ফেলা হয় বস্তুজগৎকে বিশেষিতভাবে দেখার তাঁর গভীর কবিত্বময় শক্তিকেই। বরং ‘বহুদর্শিতায় ভরা’ তাঁর লেখার ‘আনন্দময় এই সামর্থ্য’ আসলে হয়তো ‘আমাদের এই জীবনযাপনকে আরও একটু সহনীয় করে তোলার ফুর্তিভরা উপাদান।’ মাঘ ১৩২১ বঙ্গাব্দ থেকে ভাদ্র ১৩৩০ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত সন্দেশ পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশিত ৪৬টি ছড়া নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯২৩-এ ‘আবোল তাবোল’-এর আত্মপ্রকাশ। এর মাত্র কয়েকদিন আগে ১০ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সুকুমার রায়। মৃত্যুশয্যাতেও অব্যাহত ছিল প্রকাশিতব্য গ্রন্থের পাণ্ডুলিপির পরিমার্জন ও সংশোধন, প্রচ্ছদচিত্রণ ও ডামিকপির রূপায়ণ। এর সঙ্গেই বার হয়েছিল সুকুমার রায়ের অমর সৃষ্টি ! "ননসেন্স" আখ্যানের এক অসাধারণ উদাহরণ হলো "হ জ ব র ল"! এ নিয়ে আর বেশি কিই বা বলার আছে।
টারজান অমনিবাস

এসবই হল লোকমুখে শোনা গল্প। রানী ভিক্টোরিয়ার সময়কার ব্রিটিশ উপনিবেশ দপ্তরের নথিপত্রে এর নাকি সামান্য একটু উল্লেখ আর একটা হলদে হয়ে যাওয়া ডায়েরী বিষয়ে গুজব-এসবকে কোনো গল্পের যাথার্থ্যের প্ৰমাণ বলা যায় না। কিন্তু লোকমুখে বলা গল্পের কি যথার্থতা থাকে না? থাকে থাকে, বিশ্বাস না করলে পড়ে ফেলুন চিরকালীন টারজানের গল্পগুলি , লীলা মজুমদারের অসাধারণ অনুবাদে !
ঠাকুরমার ঝুলি

ঠাকুরমার ঝুলিটির মত এত বড় স্বদেশী জিনিস আমাদের দেশে আর কি আছে? কিন্তু হায় এই মোহন ঝুলিটিও ইদানীং ম্যাঞ্চেস্টারের কল হইতে তৈরী হইয়া আসিতেছিল। এখনকার কালে বিলাতের “Fairy Tales” আমাদের ছেলেদের একমাত্র গতি হইয়া উঠিবার উপক্রম করিয়াছে। স্বদেশের দিদিমা কোম্পানী একেবারে দেউলে’। তাঁদের ঝুলি ঝাড়া দিলে কোন কোন স্থলে মার্টিনের এথিকস এবং বার্কের ফরাসী বিপ্লবের নোটবই বাহির হইয়া পড়িতে পারে, কিন্তু কোথায় গেল-রাজপুত্র পাত্তরের পুত্র, কোথায় বেঙ্গমা-বেঙ্গমী, কোথায়-সাত সমুদ্র তেরো নদী পারের সাত রাজার ধন মাণিক! “জ্যোচ্ছনা ফুল ফুটেছে”; মা’র মুখের এক একটি কথায় সেই আকাশনিখিল ভরা জ্যোৎস্নার রাজ্যে, জ্যোৎস্নার সেই নির্মল শুভ্র পটখানির উপর পলে পলে কত বিশাল “রাজ-রাজত্ব”, কত “অছিন্ অভিন্” রাজপুরী, কত চিরসুন্দর রাজপুত্র রাজকন্যার অবর্ণনীয় ছবি আমার শৈশব চুর সামনে সত্য কারটির মত হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছিল। আসুন আরেকবার ফিরে দেখি সেই স্বপ্নময় জগৎ।