রহস্য/গোয়েন্দা
গোয়েন্দা সেক্সটন ব্লেক

উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিক, তখন ভিক্টোরিয়ান যুগ শেষের পথে, এইসময়ে ব্রিটিশদের পড়ার অভ্যাসে গভীর পরিবর্তন ঘটছিল। দ্য স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিনে ততদিনে ডয়েলের হাতধরে এসে গেছেন শার্লক ।হোমসের সাফল্যের ফলে ডিটেকটিভ গল্পের দিকে লেখক এবং পাঠক উভয়েরই আগ্রহ আরো বাড়তে থাকে এবং এই ধারার আরো অনেক গল্প বার করার চেষ্টা হতে থাকে।
এমনই এক যুগসন্ধিক্ষণে আবির্ভাব ঘটল আলফ্রেড হার্মসওয়ার্থ-এর, যিনি 'হাফপেনি মার্ভেল’ ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে শুরু করেন, এই "দ্য হাফপেনি মার্ভেল" এর পাঁচ নম্বরের ইস্যুতে সম্পাদক ঘোষণা করেছিলেন যে পরের সংখ্যায় আসছে এক নতুন গোয়েন্দা , এইভাবে আবির্ভূত হলেন সেক্সটন ব্লেক। প্রথম গল্পটি লিখেছিলেন হ্যারি ব্লেথ ( Harry Blyth), হ্যাল মেরিডিথ (Hal Meredeth) ছদ্মনামে ! এই নতুন গোয়েন্দা পাঠকশ্রেণীর খুব আনুকূল্য পায় এবং সেক্সটন ব্লেকের গল্প চলতে থাকে পরবর্তী প্রায় একশো বছর ধরে, গল্প উপন্যাস কমিক স্ট্রিপ এমনকি সিনেমা পর্যন্ত অনেক লেখকের হাত ধরে। ব্লেক বুদ্ধিমান, তার সবসময়ের সংগী তার সহকারী টিনেজার টিংকার আর একটা ভয়ানক কুকুর। অত্যন্ত গতিশীল, বুদ্ধির পরীক্ষা নেয় ব্লেকের গল্প। শার্লক যেমন শহুরে পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, সেক্সটনও কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে ছিল না। লন্ডন ও তৎসংলগ্ন কান্ট্রিসাইডে সেক্সটন ব্লেকের জনপ্রিয়তা ছিল শিখরে। পরবর্তীকালে সেক্সটনের জনপ্রিয়তা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে অন্যান্য অনেক ভাষার সাথে সেক্সটন ব্লেক অনূদিত হতে থাকেন আরবী এমন কী হিন্দিতেও।
এই বার বাংলায় সেক্সটন অনূদিত হয়ে এলেন বইরাগ প্রকাশনীর হাত ধরে। আমাদের এইখণ্ডে ব্লেকের ১০টি গল্প রয়েছে যা মূলত 1908 এবং 1909 সালে প্রকাশিত হয়েছিল। অনুবাদ করেছেন অর্চন চক্রবর্তী।
ফেলুদা ফ্যানফিকশন

ফ্যান ফিকশন ধারণাটা বাংলাসাহিত্যে কিছুটা নতুন, তবে এখন তা বেশ ভালই জনপ্রিয়তা পেয়েছে , এই ধারার সাহিত্যে কোন জনপ্রিয় চরিত্রকে নিয়ে মূল লেখক ব্যতীত উৎসাহী পাঠকরা গল্প লিখে ফেলেন। বাঙালী পাঠককূলে সবথেকে বেশী জনপ্রিয় গোয়েন্দাচরিত্রগুলোর অন্যতম ফেলুদা, সুতরাং তাকে নিয়ে যে ফ্যান ফিকশন লেখা হবে তাতে আর আশ্চর্য কি, বাজারে এরকম কিছু লেখা এসে গেছে, সেখানেই যোগ হলো আরো তিনটে গল্প।
এখন এধরণের লেখা ফ্যান ফিকশন না প্যাস্টিশ তা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে, তবে আমরা তা স্থির করার ভার পাঠকের হাতেই তুলে দিলাম।
অভ্যুদয়ের শার্লক হোমস্ সমগ্র, প্রথম খণ্ড– উপন্যাস

বহুদিন উৎসুক প্রতীক্ষার পর অবশেষে অসংখ্য শার্লক হোমস্ প্রেমীর জন্যে সুখবর। অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির থেকে প্রকাশিত সেই সাড়াজাগানো শার্লক হোমস্ সমগ্রের ই বই সংস্করণ।
১৯৮০ সালে প্রথম বাংলায় পূর্নাঙ্গ অনুবাদে শার্লক হোমস্ সমগ্র প্রকাশ করে অভ্যুদয় প্রকাশ-মন্দির। দক্ষ অনুবাদকদের মূলানুগ ও সাবলীল অনুবাদ বিদগ্ধ পাঠক থেকে সাধারন পাঠক—সবার অকুণ্ঠ প্রশংসা কুড়োয়। কিন্তু তারপর দুর্ভাগ্যবশত বন্ধ হয়ে যায় অভ্যুদয়, সেইসঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় এই বইটির প্রকাশনা।
কিন্তু পাঠকের স্মৃতিতে চিরস্থায়ী হয়ে থেকে যায় এই বই, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় সে স্মৃতি! ফলে প্রথম প্রকাশের চল্লিশ বছর পরেও বইটির জনপ্রিয়তা এখনও অটুট। পাঠকের মুখে মুখে ফেরে এই বইটির কথা। অনেকেই চাইছিলেন বইটি যাতে নতুন করে প্রকাশ পায়। তাই সবার দাবিকে সম্মান জানিয়ে অভ্যুদয় প্রকাশ- মন্দির থেকে নব সাজে সজ্জিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করল শার্লক হোমস্ সমগ্র, প্রথম খণ্ড– উপন্যাস। আসবে বাকি গল্পগুলোও।
ফেলুদা ২

ফ্যান ফিকশন ধারণাটা বাংলাসাহিত্যে যে খুব নতুন তা আর বলা যাবে না, এখন তা বেশ ভালই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাঙালী পাঠককূলে সবথেকে বেশী জনপ্রিয় গোয়েন্দাচরিত্রগুলোর অন্যতম ফেলুদা, তাকে নিয়ে এর আগেও একটি ফ্যানফিকশন লিখেছেন এই লেখক, সেই লেখা পাঠক মহলে সমাদৃত হওয়ার পর এবার এলো আরো দুটি বড় গল্প ফেলুদাকে নিয়ে।
দস্যু মোহন ও রমা

মোহন আর রমার প্রথম দেখা হয়েছিলো রেঙ্গুনগামী জাহাজে, তারপর কি হইতে কি হইয়া গেলো, দস্যু রমণীর প্রেমে পড়িল।
প্রেমে পড়িল তো বটে কিন্তু তার ফলে কি মোহন শুধরে গেলো? উঁহু , সে দস্যু প্রেমের প্রথমে এক খুন হয়ে যাওয়া মহিলার হীরের হার হস্তগত করেই প্রেমিকাকে খুশি করতে গিয়েছিলো, এতেই শেষ নয়, যেখানে প্রাপ্তি সম্ভাবনা এক প্রাচীন গুপ্তধনের সেখানে দস্যু রমার বাড়িতেও ডাকাতি করতে দ্বিধা করে নি।
কিন্তু রমা! সে কিন্তু মনস্থির করে ফেলার পরে আর টলেনি, শেষে জেল থেকে মোহনের মৃতদেহ বার করে আনতেও সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল.
জানতেন এসব কথা ? পড়ুন মোহন ও রমার কাহিনী!
মিসির আলি অমনিবাস - ১

মিসির আলি, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় রহস্যময় চরিত্র। মিসির আলি কাহিনীগুলো রহস্যমাত্রিক। মিসির আলির কাহিনীগুলো ঠিক গোয়েন্দা কাহিনী নয়, কিংবা 'ক্রাইম ফিকশন' বা 'থ্রিলার'-এর মতো খুনি-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক, বিজ্ঞাননির্ভর এবং যুক্তিনির্ভর কাহিনীর বুনটে বাঁধা। বরং অনেক ক্ষেত্রে একে রহস্যগল্প বলা চলে। মিসির আলি অনুসরণ করেন বিশুদ্ধ যুক্তি। এই যুক্তিই মিসির আলিকে রহস্যময় জগতের প্রকৃত স্বরূপ উদঘাটনে সাহায্য করে। সেসব কাহিনীর প্রতিফলন ঘটেছে মিসির আলি সম্পর্কিত প্রতিটি উপন্যাসে।
মিসির আলি অমনিবাস - ২

মিসির আলি, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় রহস্যময় চরিত্র। মিসির আলি কাহিনীগুলো রহস্যমাত্রিক। মিসির আলির কাহিনীগুলো ঠিক গোয়েন্দা কাহিনী নয়, কিংবা 'ক্রাইম ফিকশন' বা 'থ্রিলার'-এর মতো খুনি-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক, বিজ্ঞাননির্ভর এবং যুক্তিনির্ভর কাহিনীর বুনটে বাঁধা। বরং অনেক ক্ষেত্রে একে রহস্যগল্প বলা চলে। মিসির আলি অনুসরণ করেন বিশুদ্ধ যুক্তি। এই যুক্তিই মিসির আলিকে রহস্যময় জগতের প্রকৃত স্বরূপ উদঘাটনে সাহায্য করে। সেসব কাহিনীর প্রতিফলন ঘটেছে মিসির আলি সম্পর্কিত প্রতিটি উপন্যাসে।