বাংলা ই-বই
শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা ( বঙ্কিমচন্দ্ৰ)
শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা ( বঙ্কিমচন্দ্ৰ)
বঙ্কিমচন্দ্ৰ শ্ৰীমদ্ভগবদগীতাকে পৃথিবীর যাবতীয় ধৰ্ম্মমগ্রন্থের মধ্যে শ্ৰেষ্ঠতম স্থান দিয়াছেন। কাজেই ধৰ্ম্মশাস্ত্র আলোচনা কালে তিনি ইহার আলোচনায়ও যে লিপ্ত হইবেন তাহা সহজেই অনুমেয়। বস্তুতঃ ১২৯৩, শ্রাবণ সংখ্যা ‘প্রচারে' তিনি ইহার ব্যাখ্যান আরম্ভ করিয়া দিয়াছিলেন। গীতার মাত্র দ্বিতীয় অধ্যায় পর্য্যন্ত ব্যাখ্যান ১২৯৫ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন সংখ্যায় সমাপ্ত হয়। ইহার পর তৎকৃত গীতা-ব্যাখ্যা আর কোথাও প্রকাশিত হয় নাই। কিন্তু চতুৰ্থ অধ্যায়ের ১৯শ শ্লোক পৰ্যন্ত ব্যাখ্যান পাণ্ডুলিপি অবস্থায় ছিল। বঙ্কিমচন্দ্রের মৃত্যুর পরে ১৯০২ খ্ৰীষ্টাব্দে তাঁহার দৌহিত্র দিব্যেন্দুসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘প্রচারে’ প্রকাশিত এবং পান্ডুলিপি অবস্থায় প্রাপ্ত অংশ কালীপ্রসন্ন সিংহকৃত অবশিষ্ট ভাগের মূল ও অনুবাদদ্বারা সম্পূর্ণ করিয়া পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন।
₹
Buy From
আবোল তাবোল এবং হ য ব র ল
আবোল তাবোল এবং হ য ব র ল
‘ছন্দনৈপুণ্য, কল্পনার শক্তি এবং চরিত্র উদ্ভাবনের ক্ষমতায়’ ‘আবোল তাবোল’ (১৯২৩) বাংলা শিশুসাহিত্যে শ্রেষ্ঠ কীর্তিগুলির অন্যতম। ‘যা উদ্ভট, যা আজগুবি’ তা এই পদ্যসংকলনের বিষয় হলেও অনেকেরই মতে, এর ভিতরে প্রচ্ছন্ন রয়ে যায় ‘গূঢ় অনেক সামাজিক অর্থের দ্যোতনা, সমকালীন প্রতিবিম্বন।’ কিন্তু একমাত্রিক রূপেকর ছাঁচে ফেলে দিয়ে এ লেখাগুলিকে ভাবতে গেলে খাটো করে ফেলা হয় বস্তুজগৎকে বিশেষিতভাবে দেখার তাঁর গভীর কবিত্বময় শক্তিকেই। বরং ‘বহুদর্শিতায় ভরা’ তাঁর লেখার ‘আনন্দময় এই সামর্থ্য’ আসলে হয়তো ‘আমাদের এই জীবনযাপনকে আরও একটু সহনীয় করে তোলার ফুর্তিভরা উপাদান।’ মাঘ ১৩২১ বঙ্গাব্দ থেকে ভাদ্র ১৩৩০ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত সন্দেশ পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশিত ৪৬টি ছড়া নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯২৩-এ ‘আবোল তাবোল’-এর আত্মপ্রকাশ। এর মাত্র কয়েকদিন আগে ১০ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সুকুমার রায়। মৃত্যুশয্যাতেও অব্যাহত ছিল প্রকাশিতব্য গ্রন্থের পাণ্ডুলিপির পরিমার্জন ও সংশোধন, প্রচ্ছদচিত্রণ ও ডামিকপির রূপায়ণ। এর সঙ্গেই বার হয়েছিল সুকুমার রায়ের অমর সৃষ্টি ! "ননসেন্স" আখ্যানের এক অসাধারণ উদাহরণ হলো "হ জ ব র ল"! এ নিয়ে আর বেশি কিই বা বলার আছে।
গডফাদার
গডফাদার
আপাতদৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রী জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাইরে একটি লাল গোলাপ এবং একটি নীল প্রজাপতি পর্যবেক্ষণ করছেন, কিন্তু আসলে তিনি গভীর চিন্তায়। একটু পেছনেই রাতুল ছয়জন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে এ আলোচনা করছে রাতুল, একটি জটিল পরিকল্পনা আস্তে আস্তে রূপ পাচ্ছে । প্রধানমন্ত্রীর মনে এই পরিকল্পনার ব্যর্থতার সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে উদ্বেগ জমে উঠতে থাকে।
ঢাকার একটি রাস্তার পাশের খাবারের দোকানে বসে আছে মাসুদ এবং রুদ্র নামে দুই যুবক, মাসুদের লক্ষ্য রাস্তার ওপারে একটি মেয়ে এবং তার সঙ্গীর দিকে, ঝকঝকে এই রকম জুটি দেখে তার দীর্ঘনিশ্বাস ফেলা ছাড়া কিছুই করার নেই। রুদ্র তার মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত, চিকিৎসার খরচ বহন করার আর্থিক অসুবিধা নিয়ে চিন্তিত। মাসুদ তার বন্ধুকে সাহায্য করার জন্য একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব করে, কিন্তু এতে আছে প্রচুর ঝুঁকি।
বন্ধুত্ব, দায়িত্ব এবং প্রিয়জনকে সাহায্য করার জন্য কতটা পথ হাঁটতে হতে পারে তা নিয়েই একটি মর্মস্পর্শী গল্প হল এই গডফাদার।
ইতি আপনাদের প্রিয় গোস্ট খুনি
ইতি আপনাদের প্রিয় গোস্ট খুনি
নারীর ওপরে অত্যাচার পৃথিবী জুড়ে চলে। আর আমরা সবাই জানি, এই ঘটনাগুলো কীভাবে গোপন রাখা হয়। আসল সংখ্যাটা হয়তো কখনোই জানা যায় না। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, অপরাধীদের মধ্যে খুব কম সংখ্যকই সাজা পায়। তাহলে এই বইটা কি, সচেতনতা মূলক? নাহ, একদমই না। কিন্তু অন্যায়ের একটা সুরাহা তো হতেই পারে , তাই নিয়েই এই থ্রিলার।
আমাদের ছোটনদী
আমাদের ছোটনদী
পেছন ফিরে দেখলে, কৈশোরের দিন গুলিকে মনে হয় অলীক মায়াময় স্বপ্নিল... যেন তারা সব অন্য কোনো এক জীবনের, অন্য কোনো এক জগতের গল্প। উলটো দূরবীনে চোখ রেখেছেন, লেখিকা, আর তাঁর দৃষ্টি সীমায় সেপিয়া রঙের কিশোরীবেলার অলীক গল্প গুলো মূর্ত হয়ে উঠেছে, "আমাদের ছোটনদী"র মায়াময় প্রবাহ ধরে।
কলমের আওয়াজ
কলমের আওয়াজ
কখনও অভয়া, কখনও তিলোত্তমা'দের মতো অসংখ্য কন্যাসম বা কারও ভগিনী সম নারীর অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের ঘৃণ্য নৃশংস অত্যাচার করে হত্যার আর্তনাদের স্বর বা ছোট্ট ন দশ বছরের উমার ওপর পাশবিক নির্যাতন করে ধর্ষণ করে হত্যার বিচারের জন্য আজকের কলমটা কষ্টের মাঝে বড়ই জর্জরিত । কিন্তু স্বপ্রভিত । এরা কেউ তো আমাদের রক্তের সাথে সম্পর্ক যুক্ত হতেই পারত । আজ ওদের কারও মত আমাদের পরিবারের নারীরাও আক্রান্ত হতেই পারে আজ নয়তো কাল । তাই আজ কলমের আস্ফলন যেন ভীষণ বাস্তব আগামী প্রজন্মের মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জন্যই । তাই এই মুহূর্তের কয়েকটি সময়ের উপযুক্ত কবিতা নিয়ে আমার এই কাব্য গ্রন্থের কবিতাগুলো যেন আমার আপনার সবারই প্রতিবাদের স্বর হয়ে উঠুক এই কামনা করলাম ।
ম্যানহাটনের মায়াকাজল
ম্যানহাটনের মায়াকাজল
ভিনদেশী মানুষ, ভিনদেশী পরিবেশ, অচেনা ভাষা... অথচ তাদের যন্ত্রণা, তাদের প্রেম, প্রত্যাখ্যান, তাদের ক্ষোভ, দুঃখ-হতাশা সব যেন আমাদেরই গহন মনের ক্যাথারসিস। চমকে দেওয়া সমাপ্তি নয়, বরং প্রত্যেকটি গল্প যেন তৃষিত ব্যথিত প্রাণে মরমিয়া করস্পর্শ, এই হচ্ছে চুম্বকে বইটির বিষয় !
আরণ্যক
আরণ্যক
বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৮৯৪-১৯৫০) ক্লাসিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে প্রধানতম হলো ‘আরণ্যক’।১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভাগলপুরে থাকাকালে তিনি ‘আরণ্যক’ লেখার পরিকল্পনা করেন। ঐ সময় পাথুরিয়াঘাটা এস্টেটের সহকারী ম্যানেজার হিসেবে ইসমাইলপুর এবং আজমাবাদের অরণ্য-পরিবেশে থাকার ফলে আজন্ম নিসর্গরূপকার বিভূতিভূষণ ব্যাপক পরিভ্রমণ ও নানা বিষয়ে পর্যবক্ষেণ করেন। চাকরির সুবাদে তিনি যা কিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন, উপলব্ধি করেছেন, তারই জীবন-ঘন বর্ণনা আমরা পাই আরণ্যক উপন্যাসে।
উপন্যাসের মূল প্রটাগনিস্ট সত্যচরণ নামে এক যুবকের পনেরো-ষোলো বছর পূর্বের স্মৃতিচারণে গড়ে উঠেছে এর কাহিনী।
বিহারের পূর্ণিয়া জেলায় কুশী নদীর অপর পারের আজমাবাদ, লবটুলিয়া, ইসমাইলপুর সংলগ্ন বিস্তৃত অরণ্যময় অঞ্চলটি হচ্ছে আরণ্যক উপন্যাসের মূল পটভূমি। বন্য-অশিক্ষিত-দরিদ্র-অসহায় মানুষের অদ্ভুত-অজ্ঞাত জীবনধারা আর প্রকৃতির ভিন্নতর এক মুগ্ধতার আবেশ তাঁর এই কাহিনীর ক্যানভাস।
দিন শেষে
দিন শেষে
দেশের অন্যতম প্রভাবশালী এক গডফাদারের প্রধান সহকারী আহত অবস্থায় মারা যায় ডাক্তার তুলির তত্বাবধানে। তার মৃত্যুর সাথে সাথে অপরাধ জগত থেকে শুরু করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক দল সক্রিয় হয়ে ওঠে ডাক্তারকে নিজেদের করায়ত্ব করতে। প্রাণ বাঁচাতে ডাক্তার তুলিকে সাহায্য গ্রহণ করতে হয় অচেনা একজন মানুষের কাছ থেকে। দুজনে মিলে নিজেদের রক্ষা করতে গিয়ে ঢুকে পড়ে অপরাধ জগতের অন্দর মহলে। একটি মৃত্যুকে ঘিরে আবর্তিত হওয়া তিনজন মানুষ; একজন ডাক্তার, এক খুনি আর একজন পুলিশ অফিসার। আবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে সক্রিয় ক্ষমতা, লোভ, প্রতিহিংসা আর বিশ্বাসঘাতকতা মানুষগুলোকে ঠেলে দেয় পরিশিষ্ট পরিণতির দিকে।
ভারত মঙ্গল
ভারত মঙ্গল
ভাবতে অবাক লাগে যে রতিরঙ্গ ধ্রুপদী ভারতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল প্রাক ইসলাম পর্বেও, মধ্যযুগে এসে তা যেন একটি বদ্ধ নীতিবাগীশ শাসনে শুধু মুখ লুকিয়েই থেকে গেল। বৈষ্ণবপদাবলীতে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম মুক্তি পেলেও তা দেহাতীত নিকষিত হেম হয়ে সীমারেখা টেনে সামলে নিল। মানুষ মানুষীর মিলন মান্যতা পেল না। যৌনতার বিষয়ে মঙ্গলকাব্যেও সেই সাবধানী গা বাঁচানো রীতিটিই অকারণে বহাল রইলো।
অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে ভারতচন্দ্র যেন 'প্রমিথিয়ূস' হয়ে এসে সেই নিষিদ্ধ রতিমঞ্জরীটিকে রসিকজনের সামনে নতুন অলঙ্কারে সাজিয়ে আনলেন। বাংলাভাষা সমৃদ্ধ হল ফার্সী আর হিন্দীর শব্দপ্রয়োগে। এভাবেই নিশ্চুপ হয়ে ভারত কৃষ্ণনগরে বসে বসে ধীরে ধীরে প্রাক উনিশশতকের আধুনিক ভাষা প্রবাহের প্রথম ইঁটটি গাঁথলেন। একদিন সেই পথ দিয়েই স্বচ্ছসলিলা ভাষার গঙ্গাটিকে বয়ে আনবেন ভগীরথসদৃশ স্বয়ং বিদ্যাসাগর।
'ভারতমঙ্গল' আদতে একটি উপন্যাস ই। ইতিহাস বর্ণনা নয়, বরং ইতিহাস যাপন। কল্পনা ও সত্যের মিশেলে সেই দিনগুলিতে একটু স্বপ্নিল পদচারণের প্রচেষ্টা মাত্র।
পদ্মানদীর মাঝি
পদ্মানদীর মাঝি
পদ্মানদীর মাঝি ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে সর্বাধিক পঠিত, আলোচিত ও একাধিক বিদেশী ভাষায় অনূদিত জনপ্রিয় একটি উপন্যাস। প্রকাশকালের আনুমানিক হিসাবে পুতুলনাচের ইতিকথাকে তৃতীয় উপন্যাস ধরলে পদ্মানদীর মাঝি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চতুর্থ উপন্যাস।