বাংলা ই-বই
শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা ( বঙ্কিমচন্দ্ৰ)

শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা ( বঙ্কিমচন্দ্ৰ)
বঙ্কিমচন্দ্ৰ শ্ৰীমদ্ভগবদগীতাকে পৃথিবীর যাবতীয় ধৰ্ম্মমগ্রন্থের মধ্যে শ্ৰেষ্ঠতম স্থান দিয়াছেন। কাজেই ধৰ্ম্মশাস্ত্র আলোচনা কালে তিনি ইহার আলোচনায়ও যে লিপ্ত হইবেন তাহা সহজেই অনুমেয়। বস্তুতঃ ১২৯৩, শ্রাবণ সংখ্যা ‘প্রচারে' তিনি ইহার ব্যাখ্যান আরম্ভ করিয়া দিয়াছিলেন। গীতার মাত্র দ্বিতীয় অধ্যায় পর্য্যন্ত ব্যাখ্যান ১২৯৫ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন সংখ্যায় সমাপ্ত হয়। ইহার পর তৎকৃত গীতা-ব্যাখ্যা আর কোথাও প্রকাশিত হয় নাই। কিন্তু চতুৰ্থ অধ্যায়ের ১৯শ শ্লোক পৰ্যন্ত ব্যাখ্যান পাণ্ডুলিপি অবস্থায় ছিল। বঙ্কিমচন্দ্রের মৃত্যুর পরে ১৯০২ খ্ৰীষ্টাব্দে তাঁহার দৌহিত্র দিব্যেন্দুসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘প্রচারে’ প্রকাশিত এবং পান্ডুলিপি অবস্থায় প্রাপ্ত অংশ কালীপ্রসন্ন সিংহকৃত অবশিষ্ট ভাগের মূল ও অনুবাদদ্বারা সম্পূর্ণ করিয়া পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন।
₹
Buy From
যুদ্ধের সহস্র বছর পর

যুদ্ধের সহস্র বছর পর
‘গল্পটা এক অন্ধকার দ্বীপের, সমুদ্র পেরিয়ে অন্ধকার অংশে যে দ্বীপের অবস্থান। যে দ্বীপে আছে অসম্ভব শক্তিশালী এক পাথর। আর পাথরের পাহারায় আছে রূপকথার ভয়ংকর প্রাণী । তিন তিনবার যেখানে গিয়ে বিফল হয়েছে নেহরার রাজ্যের যোদ্ধারা। ফিরে এসেছে মাত্র একজন, মৃত্যুঞ্জয়; যে মানুষটা মরতে জানে না। আবারও যোদ্ধাদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় নেহরার রাজা। এবারের অভিযান কি সফল হবে?
মাঝ সমুদ্রে হঠাৎ দ্বীপের অভিযানে শত্রু হিসেবে আবির্ভাব হয় সমুদ্রের ত্রাস জলদস্যু ডাওমিস। এরপরে আসে অনাকাঙ্ক্ষিত আরেক সমস্যা। যার সূত্রপাত সহস্র বছর আগের সেই যুদ্ধে; যে যুদ্ধে মানবজাতি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল শয়তানের অনুসারী দিদিয়ানদের।
কেটে যায় সহস্র বছর......... প্রধান চত্বরে থেমে যায় গাড়ি। হ্যান আর সায়ার গাড়ি থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে সামনে তাকায়। সামনে তামা রঙের বিশাল দুটি মূর্তি, পরনে যোদ্ধার পোশাক। সামনের মূর্তিটা মহাবীর সেনাধ্যক্ষ ডিওডেরাসের আর ঠিক তার কাঁধের সাথে কাঁধ মিশিয়ে বাম দিকে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য একটা মূর্তি ! আশিহা- প্রাচীন সেই মহাবীরের এই মূর্তিি শ্রদ্ধা এনে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মহান আশিহা; সহস্র বছর আগে যার কারণেই রক্ষা পেয়েছিল সমগ্র মানবজাতি।
আবোল তাবোল এবং হ য ব র ল

আবোল তাবোল এবং হ য ব র ল
‘ছন্দনৈপুণ্য, কল্পনার শক্তি এবং চরিত্র উদ্ভাবনের ক্ষমতায়’ ‘আবোল তাবোল’ (১৯২৩) বাংলা শিশুসাহিত্যে শ্রেষ্ঠ কীর্তিগুলির অন্যতম। ‘যা উদ্ভট, যা আজগুবি’ তা এই পদ্যসংকলনের বিষয় হলেও অনেকেরই মতে, এর ভিতরে প্রচ্ছন্ন রয়ে যায় ‘গূঢ় অনেক সামাজিক অর্থের দ্যোতনা, সমকালীন প্রতিবিম্বন।’ কিন্তু একমাত্রিক রূপেকর ছাঁচে ফেলে দিয়ে এ লেখাগুলিকে ভাবতে গেলে খাটো করে ফেলা হয় বস্তুজগৎকে বিশেষিতভাবে দেখার তাঁর গভীর কবিত্বময় শক্তিকেই। বরং ‘বহুদর্শিতায় ভরা’ তাঁর লেখার ‘আনন্দময় এই সামর্থ্য’ আসলে হয়তো ‘আমাদের এই জীবনযাপনকে আরও একটু সহনীয় করে তোলার ফুর্তিভরা উপাদান।’ মাঘ ১৩২১ বঙ্গাব্দ থেকে ভাদ্র ১৩৩০ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত সন্দেশ পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশিত ৪৬টি ছড়া নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯২৩-এ ‘আবোল তাবোল’-এর আত্মপ্রকাশ। এর মাত্র কয়েকদিন আগে ১০ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সুকুমার রায়। মৃত্যুশয্যাতেও অব্যাহত ছিল প্রকাশিতব্য গ্রন্থের পাণ্ডুলিপির পরিমার্জন ও সংশোধন, প্রচ্ছদচিত্রণ ও ডামিকপির রূপায়ণ। এর সঙ্গেই বার হয়েছিল সুকুমার রায়ের অমর সৃষ্টি ! "ননসেন্স" আখ্যানের এক অসাধারণ উদাহরণ হলো "হ জ ব র ল"! এ নিয়ে আর বেশি কিই বা বলার আছে।
আমাদের ছোটনদী

আমাদের ছোটনদী
পেছন ফিরে দেখলে, কৈশোরের দিন গুলিকে মনে হয় অলীক মায়াময় স্বপ্নিল... যেন তারা সব অন্য কোনো এক জীবনের, অন্য কোনো এক জগতের গল্প। উলটো দূরবীনে চোখ রেখেছেন, লেখিকা, আর তাঁর দৃষ্টি সীমায় সেপিয়া রঙের কিশোরীবেলার অলীক গল্প গুলো মূর্ত হয়ে উঠেছে, "আমাদের ছোটনদী"র মায়াময় প্রবাহ ধরে।
আরণ্যক

আরণ্যক
বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৮৯৪-১৯৫০) ক্লাসিক উপন্যাসগুলোর মধ্যে প্রধানতম হলো ‘আরণ্যক’।১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভাগলপুরে থাকাকালে তিনি ‘আরণ্যক’ লেখার পরিকল্পনা করেন। ঐ সময় পাথুরিয়াঘাটা এস্টেটের সহকারী ম্যানেজার হিসেবে ইসমাইলপুর এবং আজমাবাদের অরণ্য-পরিবেশে থাকার ফলে আজন্ম নিসর্গরূপকার বিভূতিভূষণ ব্যাপক পরিভ্রমণ ও নানা বিষয়ে পর্যবক্ষেণ করেন। চাকরির সুবাদে তিনি যা কিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন, উপলব্ধি করেছেন, তারই জীবন-ঘন বর্ণনা আমরা পাই আরণ্যক উপন্যাসে।
উপন্যাসের মূল প্রটাগনিস্ট সত্যচরণ নামে এক যুবকের পনেরো-ষোলো বছর পূর্বের স্মৃতিচারণে গড়ে উঠেছে এর কাহিনী।
বিহারের পূর্ণিয়া জেলায় কুশী নদীর অপর পারের আজমাবাদ, লবটুলিয়া, ইসমাইলপুর সংলগ্ন বিস্তৃত অরণ্যময় অঞ্চলটি হচ্ছে আরণ্যক উপন্যাসের মূল পটভূমি। বন্য-অশিক্ষিত-দরিদ্র-অসহায় মানুষের অদ্ভুত-অজ্ঞাত জীবনধারা আর প্রকৃতির ভিন্নতর এক মুগ্ধতার আবেশ তাঁর এই কাহিনীর ক্যানভাস।
পদ্মানদীর মাঝি

পদ্মানদীর মাঝি
পদ্মানদীর মাঝি ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে সর্বাধিক পঠিত, আলোচিত ও একাধিক বিদেশী ভাষায় অনূদিত জনপ্রিয় একটি উপন্যাস। প্রকাশকালের আনুমানিক হিসাবে পুতুলনাচের ইতিকথাকে তৃতীয় উপন্যাস ধরলে পদ্মানদীর মাঝি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চতুর্থ উপন্যাস।
ছেলেদের রামায়ণ

ছেলেদের রামায়ণ
এটি বাল্মীকি-রচিত রামায়ণের একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ। এ সম্পর্কে লেখক নিজেই লিখেছেন - "শিশুরা যেরূপ ভাষায় লেখে, এই পুস্তকে সেইরূপ ভাষা ব্যবহারের চেষ্টা হইয়াছে। সে চেষ্টা সফল হইয়াছে কি না জানি না, কিন্তু এরূপ করিতে গিয়া যে পুস্তকের ভাষাকে কিছুমাত্র মার্জিত করিতে পারি নাই তাহা দৃষ্টিমাত্রই লক্ষিত হইবে। শ্রদ্ধাস্পদ বন্ধু শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় দয়া করিয়া একবার দেখিয়া না দিলে, ইহাতে আরও অনেক ত্রুটি থাকিত। "
গীতাঞ্জলি

গীতাঞ্জলি
Gitanjali - Song Offerings ইংরেজি ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্রনাথের প্রথম সংকলনগ্রন্থ। ইংরেজি গীতাঞ্জলি বাংলা গীতাঞ্জলি'র থেকে অনেকটাই আলাদা। রবীন্দ্রনাথ বাংলা গীতাঞ্জলি'র ১৫৭টি গান/কবিতা থেকে ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে (Gitanjali:Song Offerings) মাত্র ৫৩টি সংকলিত করেছেন। বাকি ৫০টি বেছে নিয়েছেন গীতিমাল্য, নৈবেদ্য, খেয়া, শিশু, কল্পনা, চৈতালি, উৎসর্গ, স্মরণ ও অচলায়তন থেকে। গীতিমাল্য থেকে ১৬টি, নৈবেদ্য থেকে ১৫টি, খেয়া থেকে ১১টি, শিশু থেকে ৩টি, কল্পনা থেকে ১টি, চৈতালি থেকে ১টি, উৎসর্গ থেকে ১টি, স্মরণ থেকে ১টি এবং অচলায়তন থেকে ১টি কবিতা/গান নিয়ে তিনি ইংরেজি গীতাঞ্জলির বিন্যাস করেছেন। ইংরেজি বইটির ইন্ট্রোডাকশন লিখেছিলেন W. B. YEATS. এই ই-বুকটিতে বাংলা এবং ইংরেজি তর্জমাগুলি একসাথে বিন্যাস করা হয়েছে।
কালের যাত্রার ধ্বনি

কালের যাত্রার ধ্বনি
ইতিহাসের কালচক্রের বৈশিষ্ট্য বড়ই বিচিত্র। যুগের সাথে সাথে সময়ের পালাবদলে হঠাৎ কেমন করে বদলে যায় মানুষের মুখ, মানুষের গল্প, রাজ্য রাজধানী...সব কিছুই।
শুধু রয়ে যায় যা কিছু শ্বাশ্বত, যা অমলিন, যা চিরায়ত।
সেই অনুভবটিকেই এবার দু'মলাটে আপনাদের জন্য তুলে ধরা। চেষ্টা করেছি বিবিধ যুগের একটা করে গল্প সাজিয়ে আপনাদের কাঙ্খিত পাঠ্যসুখ দেবার।
এই ধারার কাহিনীকথনে প্রতিটি একক রচনাই আমার শিক্ষক ও আজন্মকালের গুরু শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক শ্রী শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের চরণকমলের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। উনি বাঙালী পাঠকের চোখে ইতিহাসকে গল্পের আঙ্গিকে তুলে ধরে তাকে দেখতে না শেখালে হয়তো আমার কোনওকালেই ইতিহাসযাপন সম্ভব হত না।