top of page
ফিকশন

পঞ্চামৃত

Image-empty-state.png

ছোটদের গল্প লেখা যে ছোটোখাটো ব্যাপার না তা আমরা জানি কিন্তু তা সত্ত্বেও সে বই যখন অলোকবাবুর লিখিত হয় তখন তার ব্যঞ্জনা অন্যরকম হতে বাধ্য। অলোকবাবু পরিচিত 'সর্ষে তিসির খেত' এবং 'আশ্বিনের শিউলি' এই বই দুটোর জন্যে। ওনার জঁর হচ্ছে কৌতুকে মোড়া সামাজিক এবং সম্পর্কের গল্প, লেখার মূল রস স্নিগ্ধ কৌতুক। আর সেই রসই তিনি এনেছেন এই ছোটদের গল্পে , নিখাদ চেনাজানা আটপৌরে চারপাশ থেকে তিনি অক্লেশে চলে যান বাঘমামার গল্পে কি গুপ্তধনের খোঁজে ।

এই বইটিতে সোৎসাহে যোগদান করেছে কয়েকটি বাচ্চা, প্রচ্ছদের ছবি থেকে ভেতরের ছবি সব তাদেরই আঁকা। বইটিতে ছবি এঁকেছে - শরণ্য সিনহা, দেবোপমা পট্টনায়ক, ঐশিক গুপ্ত, চৈত্রীজা রায়, অর্ণব সেনগুপ্ত এবং ইরাবতী ব্যানার্জী।

অনুরোধ রইল আপনার ঘরের বাচ্চার হাতের মোবাইল বা ট্যাবলেট কেড়ে না নিয়ে তাদের নিয়ে আসুন ই-বুকের দুনিয়াতে, তারা এই বই পড়ুক, তাদের কল্পনা জাগ্রত হোক।
আর আপনি?
জানাই তো আছে - 'ঘুমিয়ে আছে সব শিশুই তাদের পিতামাতার অন্তরে', আপনিও নিজের মধ্যে সংগোপনে লুকিয়ে রাখা শিশুটিকে পড়তে দিন এই একই বই।

50

Buy From

বইঘরে বারুদ

Image-empty-state.png

তিন যুগের তিনটি সমান্তরাল কাহিনি নিয়ে তৈরী হয়েছে এই উপন্যাস। প্রতিটি কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দুতে আছে গ্রন্থাগার বা গ্রন্থভাণ্ডার। সমান্তরাল রেখা কখনও পরস্পরকে ছোঁয় না। এই উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য এই সমান্তরাল তিন যুগের কাহিনি এক কেন্দ্রবিন্দুতে পরস্পরকে স্পর্শ করেছে— বলাবাহুল্য সেটি কোনও এক গ্রন্থাগার বা জ্ঞানভাণ্ডার।
তবে এই গ্রন্থে শুধু রহস্যকাহিনিই তো নেই, আছে আর্কিমিডিসের যুগান্তকারী আবিষ্কারের কাহিনি, যুদ্ধ জয়ের জন্য বৈজ্ঞানিক কৌশল এবং সেই সঙ্গে তার করুণ মৃত্যুকাহিনি। আছে গণিতজ্ঞ দার্শনিক ইউক্লিড ও এরাটস থেনোসর কথা। আছে জুলিয়াস সিজারের যুদ্ধজয়ের কৌশল। রহস্যকাহিনীর সঙ্গে জুড়ে গেছে এক মনোমুগ্ধকর ঐতিহাসিক উপাখ্যান।
খ্রিস্টপূর্ব প্রায় তিনশত বৎসর পূর্বে, বিংশ শতাব্দীর প্রথম পাদ এবং বর্তমান একবিংশ শতাব্দী এই বিস্তৃত সময়কাল জুড়ে এই কাহিনি। আফ্রো-এশিয় এক দেশ, পাহাড়ে ঘেরা এক বিতর্কিত অঞ্চল এবং কলকাতা—এই তিন স্থানের পটভূমি ব্যাপে গড়ে উঠেছে গ্রন্থের কাহিনি। সমান্তরাল রেখা কখনও এক বিন্দুতে মেশে না, কিন্তু এই গ্রন্থের সমান্তরাল তিনটি কাহিনিই এক কেন্দ্রবিন্দুতে মিলেছে। বলা বাহুল্য, সেটা বইঘর বা গ্রন্থাগার।

50

Buy From

কল্পতরুমূলে

Image-empty-state.png

বঙ্গদেশের জনমানস প্রাচীনকাল থেকেই মাতৃপূজায় নিবেদিত। ঘোর কৃষ্ণবর্ণা, মুক্তকেশী সেই দিগম্বরা মাতৃকামূর্তি আকার ও প্রকারভেদে গঙ্গারিডি সভ্যতার কাল থেকেই বঙ্গভাষীদের ধমনীতে চিরপ্রোথিত।

তাই বোধকরি ভক্তির আতিশয্য ছেড়ে এই নিবেদিত চর্যাটি সহজেই আবর্তিত হয়েছে মাতৃনামের রসবন্যায়। আর যুগ যুগ ধরে ভাবসম্মিলনের সেই পীযূষ ধারাটি বেয়ে যেমন এসেছেন কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ, রামপ্রসাদ সেন, রাজা রামকৃষ্ণ, কমলাকান্ত প্রভৃতি ভক্তচূড়ামণিগণ , আবার তেমনই পরবর্তীতে আমরা পেয়েছি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, বামদেব সহ বহু কালজয়ী দেবকল্প সাধক ও কবিগীতিকারদের পরম আশ্রয়।

তাই সেই অতুল বারিধি থেকে কয়েক গন্ডুষ জল তুলে এনে পরম যোগাদ্যা ও সর্বকারণস্বরূপার চরণে এবারে নিবেদন করলাম অর্বাচীনের মত। চতুর্বর্গ ফলপ্রদায়ীনী মাতৃকা এই নিতান্ত বালখিল্যতায় আশাকরি কূপিতা হবেন না।

50

Buy From

মহাশয় শুনঃশেপ

Image-empty-state.png

শুনঃশেপ, অজীগর্ত এবং রাজা হরিশচন্দ্র পৌরাণিক চরিত্র। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে তাদের আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই। মহাশয় শুনঃশেপ কায়াভূত বিবেক। অন্নক্লিষ্ট জীবনেও খাবোকি’র মা আতিথ্য এবং সেবার ইচ্ছে পরিপূর্তির কথাভাবে। জীবনের স্তরে স্তরে আমরাই হয়ে উঠি অজীগর্ত অথবা হরিশচন্দ্র।
জীবন আদতে আলোর দিকেই প্রধাবিত। আলোই তো দিশা। কখনও দীপ্র, প্রখর-মায়াবি মেদুর কোথাও বা মহিমার অনির্বাণ দীপ। চলিত জীবনের বাইরে যে জীবন আছে- জীবনখনিজে মণিময়-মহাশয় শুনঃশেপ তার মার্গদর্শী। মার্গ-প্রদর্শকও বটে।

50

Buy From

সঙসপ্তক কাহিনী

Image-empty-state.png

আলেক্সিস কিভি (১০ অক্টোবর ১৮৩৪-৩১ ডিসেম্বর ১৮৭২) বেঁচে থাকতে তাঁর শ্রেষ্ঠ বই সঙসপ্তক কাহিনি-র সাফল্য দেখে যাননি। কিভি যে আধুনিক ফিনল্যান্ডের বরেণ্য লেখক এবং জাতীয় চেতনার পথিকৃৎ, একথা বুঝতে অনেক দেরি হয়েছে, এমনকি তাঁর স্বদেশেও। হেলসিঙ্কির রাউতাতিয়েন্তোরি চত্বরে, ফিনিশ জাতীয় নাট্যশালার সামনে, তাঁর মূর্তি বসানো হয় ১৯৩৯ সালে (ভাস্কর: ভ্যাইন্যো আলতোনেন)। বাংলার আগে মোট চৌত্রিশটা ভাষায় কিভির এই উপন্যাসের অনুবাদ বেরিয়েছে, তার মধ্যে এশীয় ভাষা আরবি, চিনে, জাপানি, তুর্কি, ফারসি, হিব্রু।
ফিনল্যান্ডের যে সাত ভাই এই অনূদিত উপন্যাসের নায়ক, তাদের সঙ্গে মহাভারতের ওই দৃঢ়সংকল্প সাহসী যোদ্ধাদের কিছু মিল সত্যিই পাওয়া যায়। কিন্তু ঙ আর দন্ত্য স দিয়ে “সঙ-সপ্তক” বানান কেন? বানানটার কাজ হল মনে করিয়ে দেওয়া যে ওই সাতজন তরুণকে ঠাট্টা করবার জন্যে শত্রুরা যে গান বেঁধেছিল তাতে ওদের বলা হয়েছিল সাতটা সঙ। লোকজনের নির্মম হেনস্তা গায়ে মেখে ওরা জীবনযুদ্ধে এমন রণনীতি বেছে নিয়েছিল যাতে বিদ্রুপের জবাব দিতে পারে। শত্রুদের চোখে চোখ রেখেই ওদের সেই অভাবনীয় জয়যাত্রা, যেটার গুণে এই উপন্যাস বিশিষ্ট সার্থকতা অর্জন করেছে।
এ গল্পের সঙ্গে বাঙালি পাঠকের কী সম্পর্ক? সঙসপ্তক কাহিনির মূল বিষয় হল, ব্রাত্যরা কীভাবে নিজেদের আত্মসম্মান অটুট রেখেও শিক্ষালাভ করে সমাজের মূলস্রোতে স্বীকৃতি পেতে পারে। দারিদ্র্য ও বঞ্চনার ফলে যেসব মানুষ বহু শতাব্দী ধরে শিক্ষার সুযোগ পায়নি, আজ তারা অভূতপূর্ব অনুপাতে ইস্কুল কলেজে যাচ্ছে। নয়া সাক্ষরের অদম্য উৎসাহে ভরা কৌতূহলী চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে জেনে নিচ্ছে কোন পথে চললে পরবর্তী প্রজন্ম এই দুর্দশার শৃঙ্খল কেটে বেরোতে পারবে। আমাদের সারা সমাজ জুড়ে এই যে বিরাট মন্থন চলছে, শিক্ষাপ্রাপ্তি আর মর্যাদালাভের দিকে এগিয়ে চলার এই নাটকীয় সময়টাকে পরিষ্কার বুঝতে পারবার জন্যে স্পষ্টতই বাঙালি পাঠকমাত্রেরই সঙসপ্তক কাহিনি পড়া উচিত।

100

Buy From

অলাতশান্তি

Image-empty-state.png

আগে মহাকাব্য লেখা হতো, বিরাট সেই মহাকাব্যের কাল ও স্থানগত প্রেক্ষাপট। সময় এবং ভঙ্গিমা বদলেছে। আজ মহাকাব্য পরিণত হয়েছে উপন্যাসে। এটিও সেরকম এক প্রচেষ্টা!
এই উপন্যাসটি পাঠের এক মনোগত প্রস্তুতি প্রয়োজন। প্রথম অধ্যায় অর্থাৎ অথাতো ভিক্ষুককথা আসলে ভারতের মহাযানি থেকে হীনযানি বৌদ্ধধর্মে প্রত্যাবর্তন। এর সঙ্গে টিকে থাকবে তান্ত্রিক বজ্রযান যা প্রায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে চলেছিলো তখন।
এরপরের অধ্যায়ে অর্থাৎ অথাতো তৃতীয় পথ-এ এই মহাযান এবং সংশ্লিষ্ট বজ্রযান তান্ত্রিকতার সপক্ষে আসবেন আচার্য নাগার্জুন। সবকিছুই যে প্রতীত্যসমুৎপাদ তথা পারস্পরিক সাপেক্ষতা, একটি ছাড়া যে অপরটির অস্তিত্ব নেই, এটাই শূন্যতা।পথ এবং পথিক,গতি এবং স্থিতি,সংসার এবং নির্বাণ যে এই পারস্পরিক সাপেক্ষতার কারণেই স্বভাবশূন্য ও এক, এটাই অদ্বয় শূন্যতার অনুভব। নাগার্জুনের এই উপস্থিতি ছাড়া আজ বেদান্তকে আমরা যেভাবে বুঝি, বৌদ্ধদর্শনকে, তন্ত্রদর্শনকে যেভাবে বুঝি, তা সম্ভব হতো না কখনো।
পরের অধ্যায়ে অর্থাৎ অথাতো জন্মবৃত্তান্ত-তে বোঝা যাবে, হীনযান মহাযান কিছুই নেই আর ভারতে, আছে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক তান্ত্রিক বজ্রযান আর সেই প্রেক্ষিতে শঙ্করাচার্যের জন্ম।
এরপরের অধ্যায় অর্থাৎ অথাতো হননশৈলী-তে শঙ্কর দিগ্বিজয় বর্ণনা যা মূলত শুরু হবে কুমারিল ভট্টের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকারের পর থেকেই। বড়োই আশ্চর্য সেই সাক্ষাৎকার।
শেষ অধ্যায় অর্থাৎ অথাতো মৃতদেহে প্রবেশ, সেই শরীর ত্যাগ করে নিজের দীক্ষা শরীরে ফিরে যাওয়ার আকুতি ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে, তখন হীনযান, মহাযান, কামনাসিদ্ধ বজ্রযান সবই শঙ্করের কাছে বিজ্ঞানবাদে লোপ পেয়েছে যার উপলব্ধি তাঁর হয়েছিলো মাত্র বারোটি মন্ত্রে রচিত মাণ্ডুক্য উপনিষদের উপরে রচিত আচার্য গৌড়পাদের মাণ্ডুক্যকারিকা পাঠ থেকেই যা পরবর্তী কালে খ্যাত হবে অদ্বৈত বেদান্ত নামে।

75

Buy From

মিসির আলি অমনিবাস - ১

Image-empty-state.png

মিসির আলি, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় রহস্যময় চরিত্র। মিসির আলি কাহিনীগুলো রহস্যমাত্রিক। মিসির আলির কাহিনীগ‌ুলো ঠিক গোয়েন্দা কাহিনী নয়, কিংবা 'ক্রাইম ফিকশন' বা 'থ্রিলার'-এর মতো খুনি-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক, বিজ্ঞাননির্ভর এবং যুক্তিনির্ভর কাহিনীর বুনটে বাঁধা। বরং অনেক ক্ষেত্রে একে রহস্যগল্প বলা চলে। মিসির আলি অনুসরণ করেন বিশুদ্ধ যুক্তি। এই যুক্তিই মিসির আলিকে রহস্যময় জগতের প্রকৃত স্বরূপ উদঘাটনে সাহায্য করে। সেসব কাহিনীর প্রতিফলন ঘটেছে মিসির আলি সম্পর্কিত প্রতিটি উপন্যাসে।

125

Buy From

মিসির আলি অমনিবাস - ২

Image-empty-state.png

মিসির আলি, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় রহস্যময় চরিত্র। মিসির আলি কাহিনীগুলো রহস্যমাত্রিক। মিসির আলির কাহিনীগ‌ুলো ঠিক গোয়েন্দা কাহিনী নয়, কিংবা 'ক্রাইম ফিকশন' বা 'থ্রিলার'-এর মতো খুনি-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক, বিজ্ঞাননির্ভর এবং যুক্তিনির্ভর কাহিনীর বুনটে বাঁধা। বরং অনেক ক্ষেত্রে একে রহস্যগল্প বলা চলে। মিসির আলি অনুসরণ করেন বিশুদ্ধ যুক্তি। এই যুক্তিই মিসির আলিকে রহস্যময় জগতের প্রকৃত স্বরূপ উদঘাটনে সাহায্য করে। সেসব কাহিনীর প্রতিফলন ঘটেছে মিসির আলি সম্পর্কিত প্রতিটি উপন্যাসে।

125

Buy From

bottom of page