বাংলা ই-বই
গৌড়রাজমালা

বঙ্কিমচন্দ্র লিখিয়া গিয়াছেন,—“গ্রীণলণ্ডের ইতিহাস লিখিত হইয়াছে; মাওরি-জাতির ইতিহাসও আছে; কিন্তু যে দেশে গৌড়-তাম্রলিপ্তি-সপ্তগ্রামাদি নগর ছিল, সে দেশের ইতিহাস নাই।” উপাদানের অভাবকে ইহার প্রকৃত কারণ বলিয়া স্বীকার করা যায় না;—অনুসন্ধানচেষ্টার অভাবই প্রধান অভাব। যাহারা স্মরণাতীত পুরাকাল হইতে, বংশানুক্রমে এ দেশে বাস করিতে গিয়া, নানাবিধ জয়-পরাজয়ের ভিতর দিয়া বর্ত্তমান অবস্থায় উপনীত হইয়াছে, তাহাদিগের সহিত দেশের ইতিহাসের সম্বন্ধ সর্ব্বাপেক্ষা অধিক। তাহারা তথ্যানুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইলেই, অনুসন্ধান-চেষ্টা প্রকৃত পথে পরিচালিত হইতে পারে। ইহা এখন সকলেই মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিতেছেন। "
সত্যি কথা বলতে কি বাঙালির কাছে গৌড় , পালবংশ কি সেন বংশের নাম অচেনা না , আছে নানা গল্পগাথাও। কিন্তু যদি একলপ্তে গৌড়ের প্রাচীন ইতিহাস যা কিনা পালবংশ থেকে শুরু হয়ে সেনবংশ হয়ে খিলজীতে এসে থামে, সে সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে এই বইটি আপনার জন্যেই।
মলাট ছেঁড়া গালিব

এক একটা কবিতা ধরে এগোলে মনেহয় এটা একটা জার্নি। মানুষের মনের অলিন্দে অলিন্দে সাজানো প্রদীপের আলোয় আমাদের ঘোরাফেরা। "খেলাঘরের সালতামামি" কবিতার মাত্র দুটো পংক্তি তুলে নিয়ে শুরু করি বিচার, "খড় মানেতো মরণবাঁচন আঁকড়ে থাকা..." যেখানে বলছেন তার একটু পরেই বলছেন "ঘর মানেতো, অবুঝ বেড়ায় আগলে রাখা।" ঘরের এই যে ব্যাখ্যা, এই তিনটি মাত্র শব্দ খরচ করা আর তার মধ্যেই কত কিছু বলে দেওয়া আছে। এই একটা কবিতাতে থাকা যায় অনেকক্ষণ। প্রতিটা শব্দে ঘরের একটা ছবি এঁকেছেন নীরবে এবং গভীরভাবে। কবিরা চিরকালই সবার মাঝে থেকেও একা তাইতো তিনি অবলীলায় বলতে পারেন, "....মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি একলা অমলতাস।" কিন্তু এ লেখা কি শুধু সেই একাকী গাছের? তবে কেন লেখা হল, "...হাত বাড়ালেই আকাশ তবু মাটিতে সম্পৃক্ত।" এখানেই, এভাবেই এক একটা লেখা চিরকালীন হয়ে উঠেছে ছোট্ট মোচড়ে। "কেউ কেউ সোহাগ পোষে বুকের খাঁচায়..." তাদের কী অবস্থা হয়? তারাই তো বলতে পারে, "শুঁড়িপথ ঝোলায় ভরে একলা হাঁটি।" একজায়গায় বলেছেন, "ইচ্ছে হল খামখেয়ালি নদীও...." আবার পরক্ষণেই বলছেন, "...ইচ্ছে হলে সঙ্গে থাকাই যায়..." এবং আশ্চর্য লেখাটা ওখানে শেষ হচ্ছে না। এর নামই মনেহয় লেখাকে অসীমের হাতে ছেড়ে রাখা। একটা জায়াগায় পাচ্ছি, "হঠাৎ যখন বর্ষা নামে খেরোর খাতায়..." এত সুন্দর কয়েকটা কথা বলার একটু পরেই বলছেন, "....বিজন ভোরে নিকিয়ে রাখি গোপন খামার।" সত্যিই তো আমরা মনের গভীরে এই আশা নিয়েই কি
দস্যু মোহন ও রমা

মোহন আর রমার প্রথম দেখা হয়েছিলো রেঙ্গুনগামী জাহাজে, তারপর কি হইতে কি হইয়া গেলো, দস্যু রমণীর প্রেমে পড়িল।
প্রেমে পড়িল তো বটে কিন্তু তার ফলে কি মোহন শুধরে গেলো? উঁহু , সে দস্যু প্রেমের প্রথমে এক খুন হয়ে যাওয়া মহিলার হীরের হার হস্তগত করেই প্রেমিকাকে খুশি করতে গিয়েছিলো, এতেই শেষ নয়, যেখানে প্রাপ্তি সম্ভাবনা এক প্রাচীন গুপ্তধনের সেখানে দস্যু রমার বাড়িতেও ডাকাতি করতে দ্বিধা করে নি।
কিন্তু রমা! সে কিন্তু মনস্থির করে ফেলার পরে আর টলেনি, শেষে জেল থেকে মোহনের মৃতদেহ বার করে আনতেও সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল.
জানতেন এসব কথা ? পড়ুন মোহন ও রমার কাহিনী!
রবীন্দ্র প্রবন্ধ সমগ্র

প্রথমবার ই-বুক আকারে এলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমস্ত প্রবন্ধ। এই বইটিতে পাবেন রবীন্দ্রনাথের সমস্ত প্রবন্ধ সংকলন। ২০০০ পাতার ও বেশি। এত বড় বই পড়তে যাতে আপনাদের অসুবিধা না হয় তাই সূচিপত্র করা হয়েছে দুই ভাগে , মূল বইয়ে প্রথমে সব কটি মূ ল বিভাগের সূচিপত্র লিংক দেওয়া আছে যেমন আত্মপরিচয়, আত্মশক্তি ইত্যাদি , সেগুলোতে ক্লিক করলে আপনি বিশদ সূচিতে পৌঁছবেন যেখানে এই বিভাগের প্রত্যেকটি প্রবন্ধের লিংক দেওয়া আছে। আপনাদের যাতে পড়তে সুবিধা হয় সে ভাবেই করা হয়েছে লিঙ্কিং।
অপ্রাকৃত সমগ্র

রয়েছে একচল্লিশটি গল্প : নব-বৃন্দাবন, মেঘমল্লার,তিরোলের বালা, ছেলেধরা, বোমাইবুরুর জঙ্গলে, সোনাকরা যাদুকর, খোলা দরজার ইতিহাস,পথিকের বন্ধু, অভিশাপ, অভিশপ্ত, হাসি, প্রত্নতত্ত্ব,রহস্য, আরক, ছায়াছবি, রঙ্কিনীদেবীর খড়গ, মেডেল, পেয়ালা, ভৌতিক পালঙ্ক, গঙ্গাধরের বিপদ, মশলা-ভূত, কাশী কবিরাজের গল্প, বিরজা হোম ও তার বাধা, মায়া, টান, বউ চণ্ডীর মাঠ, খুঁটি দেবতা, পৈতৃক ভিটা, অশরীরী, বরো বাগদিনী, বাঘের মন্তর, নুটি মন্তর, কবিরাজের বিপদ, মাতু পাগলি - তারানাথ তান্ত্রিকের গল্প, মধুসুন্দরীদেবী - তারানাথ তান্ত্রিকের দ্বিতীয় গল্প, নাস্তিক, দাতার-স্বর্গ, স্বপ্ন-বাসুদেব, শেষ লেখা, পিদিমের নিচে, উডুম্বর এবং একটি উপন্যাস : দেবযান !
মহারাণী স্বর্ণময়ী

উনিশ শতকে বাঙ্গালি নারীর জীবন শিক্ষার আলোক থেকে বঞ্চিত ছিল। সেই অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলোর জয়যাত্রা সূচিত করেছেন যে কয়জন বঙ্গনারী তাঁদের মধ্যে মহারাণী স্বর্ণময়ী অন্যতম । তিনি শুধু কাশিমবাজার রাজপরিবারের রাণী ছিলেন না, তিনি ছিলেন তৎকালীন সমাজের রাণী। সংস্কৃতিবান নারী, যে তাঁর সবটুকু দিয়েছেন সমাজ ও শিক্ষার উন্নতিকল্পে। জাতি গঠনে শিক্ষার প্রয়োজন সর্বাগ্রে। সেই লক্ষ্যে তিনি অকৃপণ হাতে ব্যয় করে গেছেন।
তাঁর মহৎ হৃদয়ের মর্মস্পর্শ পেয়ে সবাই কৃতার্থ হয়েছে। অথচ এই মহৎপ্রাণ ইতিহাসের গর্ভে বিলীয়মান। তাঁকে নিয়ে চর্চা প্রায় নেই বললেই চলে। হয়তো নারী বলেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তাঁকে নিয়ে ভাবিত হয়নি। এই শতাব্দীতে আজ বহরমপুর সংস্কৃতির কেন্দ্র হয়ে ওঠার পেছনে যাঁর অসামান্য অবদান, তিনি পেছনেই থেকে গিয়েছেন।
রাণী স্বর্ণময়ী দেবীর চর্চার মাধ্যমে নারীরা আজও নতুন করে উজ্জীবিত হবেন। তাঁর জীবনী চর্চার মাধ্যমে আংশিক ঋণ স্বীকার করা হবে, মানুষ আলোকিত হবেন।
তাই বইরাগ পাবলিকেশন নতুন করে প্রকাশ করল বহু বছর আগে প্রকাশিত বিহারীলাল সরকার বিরচিত "মহারাণী স্বর্ণময়ী "।
হুতোম প্যাঁচার নকশা

হুতোম প্যাঁচার নকশা কালীপ্রসন্ন সিংহ রচিত আধুনিক বাংলা সাহিত্যের শুরুর সময়ে রচিত একটি গদ্য উপাখ্যান, যা তিনি “হুতোম প্যাঁচা” ছদ্মনামে লিখেছেন। এটি মূলত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপাত্মক সামাজিক নকশা জাতীয় রচনা। এতে কলকাতার সামাজিক ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন করা হয়েছে এবং কলকাতার কথ্য ভাষাকে প্রথম সাহিত্যে স্থান দেওয়া হয়েছে। ১৮৬১ সালে “চড়ক” শিরোনামে একটি নকশায় এটি প্রকাশিত হয়, পরবর্তীতে ১৮৬৩ সালে প্রথম ভাগ এবং ১৮৬৪ সালে দ্বিতীয় ভাগ প্রকাশিত হয়।
রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ

রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ শিবনাথ শাস্ত্রী রচিত একটি গ্রন্থ। গ্রন্থটি ১৯ শতকের বাঙ্গালীর সমাজ-সংস্কৃতি-রাষ্ট্রনীতির এক উৎকৃষ্ট নির্ভরযোগ্য দলিল রূপে পরিচিত। রামতনু লাহিড়ীর সঙ্গে শিবনাথ শাস্ত্রীর পরিচয় ২২শে আগস্ট ১৮৬৯ সালে ও তার পর থেকে তা দীর্ঘ ২৯ বছরের গাঢ় পরিচয় ঘনীভূত হয়েছিল। প্রথমে শাস্ত্রী মশাই শুধু মাত্র রামতনু লাহিড়ীর জীবনী লিখবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি দেখেছিলেন ১৮১৩ সাল থেকে ১৮৯৮ সাল পর্যন্ত রামতনু লাহিড়ীর জীবন ১৯ শতকের বাঙ্গালীর সমাজ-সংস্কৃতি-রাষ্ট্রনীতির ইতিহাসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। তাই পরে ‘তৎকালীন বঙ্গসমাজ’ যুক্ত করেন। স্বভাবতই রামতনু লাহিড়ীর জীবনীসূত্রে ১৯ শতকের যেসব মনীষী নবজাগরণের সাথে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তারাও এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছেন। জীবনীগ্রন্থ হিসাবে রচিত হলেও বইটির মূল্য যে এর ঐতিহাসিকতায় এ সম্পর্কে তিনি সচেতন ছিলেন।
মহাভারত - কালীপ্রসন্ন সিংহ অনূদিত - চতুর্থ খন্ড

কালীপ্রসন্ন সিংহের সব থেকে বড় কীর্তি হল মহাভারতের অনুবাদ। তাঁর সম্পাদনায়, আঠারো পর্ব মহাভারত গদ্য আকারে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে, যা এখনও ব্যাপকভাবে পঠিত এবং প্রকাশিত হয়। পুরো প্রকল্পটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তদারকিতে হয়েছিল। এই অনুবাদটি ১৮৫৮ থেকে ১৮৬৬ এর ভিতরে প্রকাশিত হয়েছিল। সমগ্র অনুবাদকরণ প্রক্রিয়াটি উত্তর কলকাতার বরাহনগরে অবস্থিত সারস্বতাশ্রম নামে একটি বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছিল।
টানা আট বছর ধরে উদয়-অস্ত পরিশ্রমের পর ১৮৬৬ সালে শেষ হল অনুবাদের কাজ।
কালীপ্রসন্ন বিনামূল্যে মহাভারত বিতরণ করেছিলেন। এই বিপুল খরচ বহন করতে তিনি তাঁর বিভিন্ন মহল অর্থাৎ নিজস্ব মালিকানাধীন জমি বিক্রয় করে দিয়েছিলেন। সেই সময়ে পুরো আড়াই লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই মহাভারত বিতরণে।
উদ্দেশ্য একটাই, দেশের সাধারণ মানুষ ভারতের এই মহান মহাকাব্যকে জানুক, নিজের দেশের অসামান্য সাহিত্যকীর্তির সঙ্গে পরিচিত হোক !
রঙ্গমঞ্চ

গিরিশচন্দ্র,বিনোদিনী, অমৃতলাল, শিশির ভাদুড়ি, শম্ভু মিত্র, বাংলার নট-নটীদের পরম্পরা সুদীর্ঘ , রঙ্গমঞ্চ শব্দটার উৎপত্তি ও অনেককালের তবে বর্তমানে তা জুড়ে যায় স্টার, মিনার্ভা ইত্যাদির সাথে যেগুলোর অস্তিত্ব আজ আর হয়তো আর নেই কোথাও ।
এই উপন্যাসে আসলে রঙ্গমঞ্চও একটি চরিত্র , আর আছে নাট্যপ্রেমী শৈলেশ, আছে দেহপোজীবিনী নীহার , শৈলেশের সঙ্গে যার পরিচয় হয় এই রঙ্গমঞ্চের সূত্রেই , আর জীবন নাটক গড়াতে থাকে।
এই উপন্যাসের সময়কাল ও পুরাতন , গিরিশ ঘোষের যুগ শেষ হয়েছে তখন। চলছে শিশির-অহীন্দ্র যুগ। সাধারণ লোকে যেমন ভাবে , এই নাট্যমঞ্চের সঙ্গে যুক্ত লোকজনের জীবন কি শুধুমাত্র সুরার গন্ধ আর অবৈধ সম্পর্কের রসায়নে ভরপুর? নাকি এর পেছনে রয়েছে অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও অক্লান্ত পরিশ্রমও ? এই উপন্যাসে শৈলেশ নীহারের মাধ্যমে লেখক তুলে ধরতে চেয়েছেন রঙ্গমঞ্চের যবনিকার অন্তরালের ছবি ।


