বাংলা ই-বই
কাব্য সংকলন

“এক বিমুঢ় যুগের বিভ্রান্ত কবি জীবনানন্দ। পৌষের চন্দ্রালোকিত মধ্যরাত্রির প্রকৃতির মতো তাঁর কাব্য কুহেলী কুহকে আচ্ছন্ন। স্বভাবোক্তি অলঙ্কার ও বাক্ প্রয়োগের দেশজ রীতির মিলনে সৃষ্ট তাঁর আপাত সুবোধ্যতার অন্তরালে এক দুর্ত্তেয় রহস্য বিরাজিত। বলতে কি, আধুনিক কবিদের মধ্যে একমাত্র তাঁর কাব্যেই এ যুগের সংশয়ী মানবাত্মার ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত পরিচয় ফুটে উঠেছে।” –জীবনানন্দ সম্বন্ধে ড. দীপ্তি ত্রিপাঠী-র এ বক্তব্য একদম খাঁটি। কারণ কবিতার ক্ষেত্রে রবীন্দ্র আনুগত্য নিয়েও তিনি এক নিজস্বতায়, স্বাতন্ত্র্যে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছিলেন। তবে সচেতন ভাবে রবীন্দ্র বিরোধিতা না থাকলেও নিজস্ব এক কাব্য জগতের বাসিন্দা হয়ে আত্মনিমগ্ন হয়েছিলেন। তাঁর কবিতা কখনোই দিক হারা নয়, হারিয়ে যাবার জন্যে তা সৃষ্টি হয়নি।কাব্য সম্বন্ধে রূঢ় কুশ্রী নিন্দা বাক্যে বার বার তাঁকে ক্ষত বিক্ষত হতে হলেও কাব্যের প্রতি তিনি ছিলেন নিষ্ঠাবান।
দেজা ভ্যু

ঘন বড় বড় গাছগুলো আকাশটাকে ঢেকে রেখেছে। এই ভর দুপুর বেলাতেও প্রায় অন্ধকার লাগছে বনের ভেতর থেকে। অন্ধকার লাগাই তো স্বাভাবিক এ যে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বন। হ্যাঁ আমাজনেরই গহীনে অবস্থান করছে ছয়জনের দলটা। ......
আপনি রাস্তা দিয়ে আপনমনে হাঁটছেন, হঠাৎ করে কোনো বাড়ি, মানুষ বা অন্য কিছু দেখে আপনার মনে হলো আপনি এটি আগে দেখেছেন। খুব চেনা চেনা লাগছে মানুষ বা জিনিসটি। অথচ, আপনি সত্যিই তা আগে কখনো দেখেন নি। বিজ্ঞানের ভাষায়, আমাদের হঠাৎ এই প্রতিক্রিয়ার নাম হলো ‘দেজা ভ্যু।
কিন্তু এই জিনিস যদি আপনার সঙ্গে ঘটে আমাজনে বা আরো ভয়ানক কোনো জায়গায়?
পদ্মাপারের রান্নাকথা

সন্ধ্যা বোস লিখেছেন মা-দিদিমার কাছ থেকে শেখা ওপার বাংলার নানারকমের রান্নার রেসিপি। দেশভাগের যন্ত্রণার মিশেল দিয়ে এই সব হারিয়ে যাওয়া রেসিপিগুলো হয়ে উঠেছে স্বমহিমায় স্বতন্ত্র। নিজের গ্রাম ছেড়ে কাঁটাতারের বেড়া পার করে আসার মর্মবেদনা ফুটে উঠেছে এই লেখার পরতে পরতে।
“যাবে না কেউ এবার, কেননা দেশ না কি এবার ভাগ হয়ে গেছে।
নীলুদের গ্রামটা না কি এখন অন্য একটা দেশ। ভারি আজব কথা।”
শঙ্খ ঘোষের লেখায় পড়া নীলুর মতনই সন্ধ্যা বোসের জীবনেও ঘটেছিল একই ঘটনা। নিরুচ্চার কান্না আর বিষণ্ণতা নিয়ে, ঠিক নীলুর মতো-ই তিনিও ফিরে তাকিয়েছেন হারানো দেশের দিকে। তাই এই বই খানিকটা তার স্মৃতি কথাও বটে। সেই সঙ্গে তিনি তুলে নিয়ে এসেছেন পূর্ববঙ্গের রান্নাবান্নার কথা। বইরাগ পাবলিকেশন তাঁর সেই স্মৃতির রেসিপি নিয়ে প্রকাশ করল বইরাগের ই-রেসিপি-বুক ‘পদ্মাপারের রান্নাকথা’। এগুলো ঠিক রেসিপি নয়, আবেগ আর স্মৃতির এমন ককটেল, যা আমাদের টাইম মেশিনে চড়ে পেছন পানে যেতে বাধ্য করে।
সংক্ষিপ্ত মহাভারত

মহাভারতের এত সব চরিত্র, দোষে-গুণে, ভালোয়-মন্দে মেশানো , মহাভারতের ঘটনাবলীর বিশালতা জটিলতা ,যুক্তি, নৈতিকতা, তা থেকে সৃষ্ট জটিল সব ঘটনাবলি, সেসব ঘটনাবলীর আরও জটিল ব্যাপ্তি , এই নিয়ে এই মহাকাব্য পড়তে গিয়ে মহাভারত পড়তে গিয়ে বয়স্কজনেরাই পথ হারিয়ে ফেলেন।
সেই কাহিনী অল্পবয়স্কদের জন্যে খুব সরলভাবে উপস্থাপন উপেন্দ্রকিশোর করেছেন সাফল্যের সাথে, কিন্তু এই বই শুধু অল্পবয়স্কদের জন্যেই নয় ! আমাদের মনে জীবনে মহাভারত এমন ভাবে জড়িয়ে আছে আর এত এত বিশ্লেষণ অহর্নিশ হয়ে চলেছে যে আমরা অনেকেই হয়তো খেয়াল করিনা যে সমগ্র মহাভারত একবারও পড়েই দেখা হয় নি , সেই ক্ষেত্রেও চট করে মহাভারতের ঘটনাবলী আরেকবার পড়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বড়দের জন্যেও , কারণ উপেন্দ্রকিশোর কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে বাদ দেন নি।
বইঘরে বারুদ

তিন যুগের তিনটি সমান্তরাল কাহিনি নিয়ে তৈরী হয়েছে এই উপন্যাস। প্রতিটি কাহিনীর কেন্দ্রবিন্দুতে আছে গ্রন্থাগার বা গ্রন্থভাণ্ডার। সমান্তরাল রেখা কখনও পরস্পরকে ছোঁয় না। এই উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য এই সমান্তরাল তিন যুগের কাহিনি এক কেন্দ্রবিন্দুতে পরস্পরকে স্পর্শ করেছে— বলাবাহুল্য সেটি কোনও এক গ্রন্থাগার বা জ্ঞানভাণ্ডার।
তবে এই গ্রন্থে শুধু রহস্যকাহিনিই তো নেই, আছে আর্কিমিডিসের যুগান্তকারী আবিষ্কারের কাহিনি, যুদ্ধ জয়ের জন্য বৈজ্ঞানিক কৌশল এবং সেই সঙ্গে তার করুণ মৃত্যুকাহিনি। আছে গণিতজ্ঞ দার্শনিক ইউক্লিড ও এরাটস থেনোসর কথা। আছে জুলিয়াস সিজারের যুদ্ধজয়ের কৌশল। রহস্যকাহিনীর সঙ্গে জুড়ে গেছে এক মনোমুগ্ধকর ঐতিহাসিক উপাখ্যান।
খ্রিস্টপূর্ব প্রায় তিনশত বৎসর পূর্বে, বিংশ শতাব্দীর প্রথম পাদ এবং বর্তমান একবিংশ শতাব্দী এই বিস্তৃত সময়কাল জুড়ে এই কাহিনি। আফ্রো-এশিয় এক দেশ, পাহাড়ে ঘেরা এক বিতর্কিত অঞ্চল এবং কলকাতা—এই তিন স্থানের পটভূমি ব্যাপে গড়ে উঠেছে গ্রন্থের কাহিনি। সমান্তরাল রেখা কখনও এক বিন্দুতে মেশে না, কিন্তু এই গ্রন্থের সমান্তরাল তিনটি কাহিনিই এক কেন্দ্রবিন্দুতে মিলেছে। বলা বাহুল্য, সেটা বইঘর বা গ্রন্থাগার।
ড্রাকুলা

কিছু নাম আছে, যা শরীরে শিহরণ জাগানোর জন্য যথেষ্ট। যেমন ব্রাম স্টোকারের ‘ড্রাকুলা’। ১৮৯৭ সালে লেখা তাঁর এই বইয়ের অনুপ্রেরণায় একাধিক চলচ্চিত্র, অনুষ্ঠান, ভ্যাম্পায়ার বা রক্তপায়ীদের নিয়ে কাহিনি তৈরি হয়েছে এবং হয়ে চলেছে। দর্শক এবং পাঠকদের মনে কাউন্ট ড্রাকুলার কাহিনি গেঁথে গিয়েছে। অবশ্য 'কাউন্ট ড্রাকুলা'-র বেশির ভাগটাই লেখকের কল্পনা। তবে ব্রাম স্টোকার তাঁর উপন্যাসের চরিত্রের নামকরণ করেছিলেন বাস্তবে্র এক 'ড্রাকুলা'র নামানুসারেই। বাস্তবের কাউন্ট ড্রাকুলা হলেন ভ্লাদ দ্য ইম্পেলার। রোমানিয়ার এক ঐতিহাসিক অঞ্চল ওয়ালাশিয়া। তারই প্রিন্স ছিলেন ভ্লাদ দ্য ইম্পেলার বা তৃতীয় ভ্লাদ। এই প্রিন্সেরই আর এক নাম ছিল ড্রাকুলা। যদিও ওই নামটি ছাড়া কাহিনির ড্রাকুলা এবং ওয়ালাশিয়ার প্রিন্সের আর কোনও চারিত্রিক মিল ছিল না। ইতিহাসবিদদের মতে, উপন্যাসটি লেখার আগে ওয়ালাশিয়াতে এসেছিলেন ব্রাম। সেখানেই ভ্লাদ দ্য ইম্পেলারের কথা শোনেন এবং সেখান থেকেই উপন্যাসের চরিত্রের জন্য ‘ড্রাকুলা’ শব্দটি নেন তিনি।
পরশুরাম গল্প সমগ্র

পরশুরামের গল্পের জনপ্রিয়তার পিছনে বড় কারণ এদের কৌতুক, wit, humor আর satire, এই তিনধরণের কৌতুকের মধ্যে পরশুরাম বেছে নিয়েছিলেন satire কেই। আর তার ফল অমর সব চরিত্র , গন্ডেরিরাম বাটপারিয়া, কারিয়া পিরেত, জাবালি পত্নী হিন্দ্রলিনী। শ্যামানন্দ ব্রহ্মচারী, বিরিঞ্চিবাবা, হনুমান প্রেমিকা চিলিম্পা— আরও কত সব।
প্রখর বুদ্ধির দীপ্তিতে উজ্জ্বল তাঁর হাস্যরসাত্মক গল্পগুলি জীবনের নানা অসঙ্গতিকে অবলম্বন করে রচিত। দীর্ঘকাল তাঁর এইসব রচনা বাঙালীকে নির্মল আনন্দ দিয়েছে। আশা করি পাঠকের ভালো লাগবে।
পঞ্চম

একজন মানুষ যে কিনা আন্ডার ওয়ার্ল্ডের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যাকে বলা চলে মাফিয়া জগতের তথ্যের খনি , সেই মানুষটাই কিনা খুন হয়ে গেলেন ঢাকার এক অভিজাত এলাকায়? এর পেছনে কারণ কি ? মানে মাফিয়া জগতেও অন্তর্দ্বন্দ্ব নাকি দামী তথ্যভান্ডার হাতানোর চেষ্টা ? স্থানীয় থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসে ঘটনাস্থলে খুঁজে পেলেন এক কিশোরকে। প্রাথমিক সন্দেহে গ্রেফতার করা হলো তাকে। বর্তমানে কিশোররা অনেক ভয়ংকর। বেশ কিছু কেসে এমনটা দেখা গেছে।
কিন্তু, পরদিন পাশা উল্টে গেলো। খুনের অস্ত্রে পাওয়া গেলো বাসার দারোয়ানের হাতের ছাপ। ছেলেটাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হলো পুলিশ। ধরলো বাসার দারোয়ানকে। অকাট্য প্রমাণ। খুন করার সুযোগ আর মোটিভ দুটোই ছিল।
কিন্তু, পুরো পরিস্থিতি উল্টেপাল্টে তদন্তে এলো এনএসআই এর দুই ডিটেকটিভ সোহেল আর তার সহকারী সোহান। পাশার দান আবার বদলাতে লাগলো। অভিজ্ঞ অফিসার সোহেল পড়লো মহাধন্ধে। কোন জীবিত মানুষ তাকে কখনো যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি, একটা মৃত মানুষ তাকে সে দেয়ালের সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিলো।
আদাজল খেয়ে লাগলো সে। শুরু হলো কখনো ব্যর্থ না হওয়া সোহেলের জীবনের প্রথম অসফল হতে যাওয়া কেসের তদন্ত।