
চার ইয়ারি কথা
ঘড়িতে রাত দশটা ! ঝড়বৃষ্টি আসবার আশু সম্ভাবনা ! কে সমস্ত আকাশটিকে একখানি একরঙা মেঘের ঘেরাটোপ পরিয়ে দিয়েছে, এবং সে রং কালোও নয়, ঘনও নয়; কেননা তার ভিতর থেকে আলো দেখা যাচ্ছে। ছাই-রঙের কাচের ঢাকনির ভিতর থেকে আলো দেখা যায়, সেইরকম আলো। আকাশ-জোড়া এমন মলিন, এমন মরা আলোতে বাইরে যা-কিছু আছে, সব কিরকম নিস্পন্দ, নিস্পন্দ, নিস্তব্ধ হয়ে গেছে; যা জীবন্ত তাও মৃতের মত দেখাচ্ছে; বিশ্বের হৃৎপিণ্ড যেন জড়পিণ্ড হয়ে গেছে, তার নিশ্বাসরোধ হয়ে গেছে, রক্ত-চলাচল বন্ধ হয়েছে; মনে হচ্ছে যেন সব শেষ হয়ে গেছে যেন আর এক পৃথিবীর আর এক আকাশ;-দিনের কি রাত্তিরের বলা শক্ত।
এ আলোর স্পর্শে পৃথিবী যেন অভিভূত, স্তম্ভিত, মূৰ্জিত হয়ে পড়েছিল। চারপাশে তাকিয়ে দেখি,গাছ-পালা, বাড়ী ঘর-দোর, সব যেন কোনও আসন্ন প্রলয়ের আশঙ্কায় মরার মত দাঁড়িয়ে আছে ! পৃথিবীর উপরে সে রাত্তিরে যেন শনির দৃষ্টি পড়েছিল।
আর এরকম পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছে চার ইয়ার। সেন, সীতেশ, সোমনাথ এবং আমি।
সেন বল্লেন—”যেরকম আকাশের গতিক দেখছি, তাতে বোধ হয়। এখানেই রাত কাটাতে হবে।”
কি ঘটলো সেই রাতে? চেনাজানা পরিধি ছাড়িয়ে চার ইয়ার কি অন্য কিছুর স্পর্শ পেলো ? পড়ুন প্রমথ চৌধুরীর অনবদ্য গ্রন্থ -চার ইয়ারি কথা।
You have not rated yet!
AVG
total
No of rating