সংস্কৃতি
রামায়ণ - সারানুবাদ রাজশেখর বসু

ভারতীয় কবিগণনায় প্রথমেই বাল্মিকীর স্থান, কিন্তু তাঁর রামায়ণ এত বড় যে মূল বা অনুবাদ সমগ্র পড়বার উৎসাহ অতি অল্প লোকেরই হয়। এই পুস্তক বাল্মিকী-রামায়ণের বাংলা সারসংকলন, কিন্তু সংক্ষেপের প্রয়োজনে এতে কোনও মুখ্য বিষয় বাদ দেওয়া হয়নি!
এই সংকলনে বাল্মিকীর বৈশিষ্ট্য যথাসম্ভব বজায় রাখবার চেষ্টা করা হয়েছে এবং তাঁর রচনার সঙ্গে পাঠকের কিঞ্চিৎ সাক্ষাৎ পরিচয় হবে এই আকাঙ্ক্ষায় স্থানে স্থানে নমুনা স্বরূপ মূল শ্লোক স্বচ্ছন্দ বাংলা অনুবাদ সহ দেওয়া হয়েছে ।
শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণকথামৃত (সম্পূর্ণ)

শ্রীম- মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত শ্রীরামকৃষ্ণের ব্যক্তিত্বে আকর্ষিত হয়ে মহেন্দ্রনাথ তার কথোপকথন ও কার্যকলাপের স্টেনোগ্রাফিক রেকর্ড রাখতে শুরু করেন নিজের ডায়েরিতে। এই রেকর্ডটিই পরবর্তীকালে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত নামক বইয়ের আকার নেয়।
রচনাপদ্ধতি সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন, "বাড়ি ফেরার পর স্মৃতি থেকে সব কিছু লিখে রাখতাম। মাঝে মাঝে সারা রাতও জেগে থাকতে হত...মাঝে মাঝে টানা সাত দিন বসে থেকে লিখতে হত। গানগুলিকে স্মরণে আনতে হত, কোন ক্রমে সেগুলি গাওয়া হয়েছিল, সেগুলিও মনে করতে হত, সমাধি ও অন্যান্য সব ঘটনার কথা মনে করতে হত।" কথামৃতের প্রতিটি পরিচ্ছেদে মহেন্দ্রনাথ তথ্যের পাশাপাশি সময় ও স্থানের উল্লেখ করেছেন। "কথামৃত" শব্দটি বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থ ভাগবত পুরাণ-এর ১০।৩১।৯ সংখ্যক শ্লোক থেকে গৃহীত।
পদ্মাপারের রান্নাকথা

সন্ধ্যা বোস লিখেছেন মা-দিদিমার কাছ থেকে শেখা ওপার বাংলার নানারকমের রান্নার রেসিপি। দেশভাগের যন্ত্রণার মিশেল দিয়ে এই সব হারিয়ে যাওয়া রেসিপিগুলো হয়ে উঠেছে স্বমহিমায় স্বতন্ত্র। নিজের গ্রাম ছেড়ে কাঁটাতারের বেড়া পার করে আসার মর্মবেদনা ফুটে উঠেছে এই লেখার পরতে পরতে।
“যাবে না কেউ এবার, কেননা দেশ না কি এবার ভাগ হয়ে গেছে।
নীলুদের গ্রামটা না কি এখন অন্য একটা দেশ। ভারি আজব কথা।”
শঙ্খ ঘোষের লেখায় পড়া নীলুর মতনই সন্ধ্যা বোসের জীবনেও ঘটেছিল একই ঘটনা। নিরুচ্চার কান্না আর বিষণ্ণতা নিয়ে, ঠিক নীলুর মতো-ই তিনিও ফিরে তাকিয়েছেন হারানো দেশের দিকে। তাই এই বই খানিকটা তার স্মৃতি কথাও বটে। সেই সঙ্গে তিনি তুলে নিয়ে এসেছেন পূর্ববঙ্গের রান্নাবান্নার কথা। বইরাগ পাবলিকেশন তাঁর সেই স্মৃতির রেসিপি নিয়ে প্রকাশ করল বইরাগের ই-রেসিপি-বুক ‘পদ্মাপারের রান্নাকথা’। এগুলো ঠিক রেসিপি নয়, আবেগ আর স্মৃতির এমন ককটেল, যা আমাদের টাইম মেশিনে চড়ে পেছন পানে যেতে বাধ্য করে।
স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা সমগ্র

স্বামী বিবেকানন্দ সম্পূর্ণ রচনাবলী (১-১০ খন্ড), এতে রয়েছে চিকাগো বক্তৃতা সমেত স্বামীজীর সমস্ত বক্তৃতা, তাঁর লেখা প্রবন্ধাবলী যেমন রাজযোগ, কর্মযোগ, পাতঞ্জল যোগ ইত্যাদি, তাঁর রচিত গান এবং কবিতা। তাঁর সম্পূর্ণ পত্রাবলী। তাঁর উপদেশাবলী ( স্বামী-শিষ্য সংবাদ) এবং বিদেশে অবস্থানকালে সেখানকার নানান সংবাদপত্রে বেরোনো কাটিংয়ের বঙ্গানুবাদ।
ধম্মপদ

ধম্মপদ বা ধর্ম্মপদ বৌদ্ধ-ধর্ম্ম শাস্ত্রের নীতি সংগ্রহ গ্রন্থ। ত্রিপিটক, এই তিন শ্রেণী বা পিটকত্রয়ের নাম—সূত্র (সুত্ত), বিনয় ও অভিধর্ম্ম (অভিধম্ম)। সূত্রপিটকে বুদ্ধদেব কর্ত্তৃক ধর্ম্মতত্ত্বালোচনের বিষয়, বিনয়পিটকে সংযম (Discipline) ও অভিধর্ম্মে আধ্যাত্মিক তত্ত্বাবলী (Metaphysics) আলোচিত হইয়াছে। এতন্মধ্যে সূত্রপিটকে ধর্ম্মতত্ত্বসন্ধন্ধীয় বুদ্ধোক্তিসমূহ নিবদ্ধ হয়। এইজন্য সূত্রপিটকের অন্য নাম বুদ্ধবচন ও “মূলগ্রন্থ”। এই উক্তি সমূহ হইতে সারনীতি সংগ্রহ করিয়া যে সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ সম্পাদিত হয়, তাহারই নাম ধম্মপদ। বুদ্ধদেব কখন কোথায়, কোন্ অবস্থায় কাহার সহিত কথােপকথনচ্ছলে কোন্ কথা বলিয়াছিলেন, সেই সমস্ত সূত্র পিটকে সংরক্ষিত হইয়াছে। ধম্মপদ গ্রন্থ ঐ সকল বাক্য হইতে নীতিমালা সংগ্রহ করিয়া শ্রেণীবদ্ধ ভাবে সম্পাদিত হইয়াছে। অন্যান্য বৌদ্ধ ধর্ম শাস্ত্রের ন্যায় ইহাও পালিভাষায় লিখিত। ধম্মপদ শব্দের সাধারণ অথ ধৰ্ম্মের পথ বা সােপান।
তন্ত্রের কথা

তন্ত্র-সম্পর্কে সাধারণ বাঙালীর ধারণা আদৌ স্বচ্ছ নয়। হয় তন্ত্রকে একটি অতি জটিল, প্রায়-অনাচরণীয় ধর্মপদ্ধতি হিসাবে গণ্য করা হয়, নয় অসামাজিক ও অশালীন পঞ্চ‘ম’-কার চর্চার মার্গরূপে জ্ঞান করা হয়। কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের ‘তন্ত্রসার’ গ্রন্থটি দুষ্প্রাপ্য এবং তন্ত্রশাস্ত্রের আরও যে-সব বই পাওয়া যায় তা সকলের বোধগম্য নয়। এই 'তন্ত্রের কথা' গ্রন্থে লেখক অতি সহজ কথায় তন্ত্র ও তান্ত্রিক সাধনার বিভিন্ন ধারার আলোচনা করে একটি সুসম্পূর্ণ রূপরেখা দেওয়ার প্রয়াস করেছেন। পাঠকেরা তন্ত্র সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য তো পাবেনই, সাথে বাঙ্গালির তন্ত্রচর্চার ইতিহাসও জানতে পারবেন।
ঠাকুর বাড়ির লেখা

জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে কয়েক প্রজন্ম ধরে সাহিত্যের ধারা বহমান ছিল, রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও তাঁর পিতা, দাদা, দিদি এবং অন্যান্য পরিজন সাহিত্য চর্চা করেছেন । দেবেন্দ্রনাথের ব্রাহ্মধর্মের ওপরের লেখাগুলি, জ্ঞানদানন্দিনী দেবী এবং সত্যেন্দ্রনাথের স্মৃতিকথা, স্বর্ণকুমারী দেবী রচিত দুটি উপন্যাস, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ এবং অনুবাদ, এই সবই পাবেন এই ই-বইটিতে।
শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা ( বঙ্কিমচন্দ্ৰ)

বঙ্কিমচন্দ্ৰ শ্ৰীমদ্ভগবদগীতাকে পৃথিবীর যাবতীয় ধৰ্ম্মমগ্রন্থের মধ্যে শ্ৰেষ্ঠতম স্থান দিয়াছেন। কাজেই ধৰ্ম্মশাস্ত্র আলোচনা কালে তিনি ইহার আলোচনায়ও যে লিপ্ত হইবেন তাহা সহজেই অনুমেয়। বস্তুতঃ ১২৯৩, শ্রাবণ সংখ্যা ‘প্রচারে' তিনি ইহার ব্যাখ্যান আরম্ভ করিয়া দিয়াছিলেন। গীতার মাত্র দ্বিতীয় অধ্যায় পর্য্যন্ত ব্যাখ্যান ১২৯৫ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন সংখ্যায় সমাপ্ত হয়। ইহার পর তৎকৃত গীতা-ব্যাখ্যা আর কোথাও প্রকাশিত হয় নাই। কিন্তু চতুৰ্থ অধ্যায়ের ১৯শ শ্লোক পৰ্যন্ত ব্যাখ্যান পাণ্ডুলিপি অবস্থায় ছিল। বঙ্কিমচন্দ্রের মৃত্যুর পরে ১৯০২ খ্ৰীষ্টাব্দে তাঁহার দৌহিত্র দিব্যেন্দুসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘প্রচারে’ প্রকাশিত এবং পান্ডুলিপি অবস্থায় প্রাপ্ত অংশ কালীপ্রসন্ন সিংহকৃত অবশিষ্ট ভাগের মূল ও অনুবাদদ্বারা সম্পূর্ণ করিয়া পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন।