top of page
চিন্তনে কবিতা

চিন্তনে কবিতা

No ratings yet

কবিতা কি? কবিতা লেখার প্রথম দিন থেকেই এই প্রশ্নটিই কবির মনে ঘুরে ফিরে এসেছে - কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর কেউ খুজে পাননি। যদি সর্বজন গ্রাহ্য কোন উত্তর খুজে পাওয়া যেত তাহলে হয়তো কবিতারও মৃত্যু ঘটত, কেননা যে অন্বেষণে কবিতা লেখা সেই অম্বেষণ প্রক্রিয়াও শেষ হত। আসলে, কবিতার পরিচয়, কবিতা এক অবলম্বন। এই অবলম্বনেই জীবনের পথ চলা, কবিতা আমাদের অনুভূতি প্রকাশের অবলম্বন। একটি সম্পৃক্ত চিনির রসের পাত্রে সুতো ঝুলিয়ে রাখলে আস্তে আস্তে সুতোর ওপর জমতে থাকে মিছরির দানা, নানা রূপে। কিছুই ছিল না যা, সেই সুতো নানা আকারে প্রকাশ পায়, এই মিছরির নানা আকারের দানাগুলি প্রত্যক্ষ হয়ে ওঠে। চিনির রসের মত আমাদের মনের মধ্যে যে নানা কল্পনা, যে স্মৃতি, অনুভূতি, সে সবই দানা বেঁধে ওঠে সুতোর ওপর, কবিতা তৈরি হয়ে ওঠে। আমাদের চেতনার গভীরে অথবা অবচেতনে তরলের মত সব ভাবনাই প্রকাশ পায় কবিতা রূপে আমাদের সৃষ্টিতে। আর কবিতার এই হয়ে ওঠার সেতুবন্ধন ঘটে কবি ও পাঠকের, এ এক সম্পৃক্ত বন্ধন। যত তুচ্ছই হোক, কবি ভাবনা প্রভাবিত করে পাঠক ভাবনাকে। পাঠকের মনে কৌতুহল উদ্রেক হয়, এ আমারই কথা। যত তুচ্ছ ভাবনাই হোক, হৃদয়স্পর্শতাতেই কবিতার সার্থকতা।
কবিতায় কিছুই নয় ব্রাত্য, কিছুই নয় বর্জনীয়। সংহিতা রায় যখন লেখেন “আমি শুধু চলতি পথরে কথা/কুড়িয়ে নিয়ে পেরিয়ে অলিগলি” (আশীর্বাদ) পাঠক কৌতুহলী হয়ে ওঠে, এই অলি-গলি তো তারও চেনা, কি অন্বেষণ করছেন কবি? কেন এই পথে হাঁটা? তিনিও সঙ্গী হতে চান কবির। আর কবি শুরু করেন পাঠকের সঙ্গে বাক্যালাপের আবহ তৈরি করতে, তিনি প্ররোচিত করেন তাকে, “তোর দুচোখে রোমাঞ্চে মৌতাত/আজ পেতেছি স্বপ্ন দেখার ফাঁদ” (স্বপ্নঘারে)। আর এভাবেই সংহিতা এগিয়ে গেছেন, তার আবার করে আবিষ্কৃত পৃথিবীকে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করতে। পাঠককে সঙ্গী করে নিয়েছেন তার ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে।

50

Buy From

You have not rated yet!

Similar e-Books

123.png
123.png
123.png
123.png
123.png
123.png
123.png
123.png
123.png
123.png
123.png
123.png
123.png
123.png
123.png

AVG

total

No of rating

bottom of page