প্রবন্ধ
স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা সমগ্র

স্বামী বিবেকানন্দ সম্পূর্ণ রচনাবলী (১-১০ খন্ড), এতে রয়েছে চিকাগো বক্তৃতা সমেত স্বামীজীর সমস্ত বক্তৃতা, তাঁর লেখা প্রবন্ধাবলী যেমন রাজযোগ, কর্মযোগ, পাতঞ্জল যোগ ইত্যাদি, তাঁর রচিত গান এবং কবিতা। তাঁর সম্পূর্ণ পত্রাবলী। তাঁর উপদেশাবলী ( স্বামী-শিষ্য সংবাদ) এবং বিদেশে অবস্থানকালে সেখানকার নানান সংবাদপত্রে বেরোনো কাটিংয়ের বঙ্গানুবাদ।
নেতাজির মৃত্যুযোগ

সুভাষ কবে থেকে নেতাজি হয়ে উঠলেন তা আমরা খেয়াল করিনি, স্রোতের প্রতিকূলে সাঁতরে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল তাঁর, অসম্ভব স্বপ্নপূরণের আশায় ছুটে বেড়ানোর মতো বুকের পাটা ছিল একমাত্র তাঁরই, এসব কারণেই সুভাষ যে নেতাজি হবেন তা নিয়ে ভাবার কি আছে ? কিন্তু তার পরে ? তার মহানিষ্ক্রমণের কথা , পরবর্তি কাহিনী আমাদের ঠোঁটস্থ , তারপর ? তারপর আমাদের সম্বল কিছু শব্দ মাত্র , শৌলমারীর সাধু ,গুমনামি বাবা, সারদানন্দজি , যুদ্ধাপরাধী ??, জাল চিঠি ? ,ডিএনএ, ডিক্লাসিফাইড নথি , এই সব শব্দজালে আমরা জড়িয়ে আছি কত দিন ধরে। অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নানা তথ্য ঘেঁটে চেষ্টা করেছেন নানা প্রশ্নের জবাব দেওয়ার , আশা করি তা পাঠকদের ভালো লাগবে।
কৃষ্ণ চরিত্র

যেমন প্রকাশ্য রঙ্গমঞ্চের উপরে নেপথ্যবিধান করিতে আরম্ভ করিলে অভিনয়ের রসভঙ্গ হয়, কাব্যসৌন্দর্য সমগ্রভাবে শ্রোতৃবর্গের মনের মধ্যে মুদ্রিত হয় না, সেইরূপ বঙ্কিমের কৃষ্ণচরিত্রে পদে পদে তর্কযুক্তি বিচার উপস্থিত হইয়া আসল কৃষ্ণচরিত্রটিকে পাঠকের হৃদয়ে অখণ্ডভাবে প্রতিষ্ঠিত হইতে বাধা দিয়াছে। কিন্তু বঙ্কিম বলিতে পারেন, "কৃষ্ণচরিত্র' গ্রন্থটি স্টেজ নহে; উহা নেপথ্য; স্টেজ-ম্যানেজার আমি নানা বাধাবিঘ্নের সহিত সংগ্রাম করিয়া, নানা স্থান হইতে নানা সাজসজ্জা আনয়নপূর্বক কৃষ্ণকে নরোত্তমবেশে সাজাইয়া দিলাম-- এখন কোনো কবি আসিয়া যবনিকা উত্তোলন করিয়া দিন, অভিনয় আরম্ভ করুন, সর্বসাধারণের মনোহরণ করিতে থাকুন। তাঁহাকে শ্রমসাধ্য চিন্তাসাধ্য বিচারসাধ্য কাজ কিছুই করিতে হইবে না। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
পজিটিভ থটস

চলছে করোনা মহামারি। গৃহবন্দি আমরা সকলে নিজেদের মতো করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। সর্বাত্মক চেষ্টা করছি এই বিপদ থেকে মুক্ত হতে। কিন্তু কেউই নিশ্চিতভাবে জানি না, সামনে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করে আছে। তাই স্বভাবতই অবসাদ্গ্রস্ত হয়ে পড়ছি অনেকে, নিমজ্জিত হচ্ছি হতাশায়। শত চেষ্টা সত্ত্বেও পারছি না মনোবল ধরে রাখতে।
প্রতিদিন সংবাদ দেখে, পড়ে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ক্রল করতে গিয়ে সম্মুখীন হচ্ছি নানাবিধ বাজে খবরের, যা আমাদেরকে মানসিকভাবে আরো বিপর্যস্ত করে তুলছে। এছাড়া প্রত্যেকের নিজ নিজ জীবনের বিভিন্ন সমস্যা তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে এ এক কঠিন দুঃসময়। এ সময়ে আমাদের খুব বেশি করে প্রয়োজন নিজেদের মনকে শান্ত রাখা, ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা।
এক্ষেত্রে ইতিবাচক কিছু লেখা হতে পারে বিশেষ সহায়ক। মূলত সেই চিন্তা থেকেই, গত কয়েক মাসের বিভিন্ন সময়ে এমন বিভিন্ন লেখা লিখেছি, যার মাধ্যমে নিজের ইতিবাচক চিন্তাকে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেয়া যায়, এবং তার মাধ্যমে অন্যদেরকেও কিছুটা উজ্জীবিত করা যায়। আর সেই লেখাগুলোকেই এবার একত্র করে একটি সংকলনের মতো দাঁড় করানোর চেষ্টা করলাম।
এমনটি মোটেই দাবি করছি না যে এই সংকলনের প্রতিটি লেখাই খুব উঁচুদরের। আমি নেহাতই একজন সাধারণ মানুষ, তাই আমার চিন্তাভাবনা ও তার বহিঃপ্রকাশও নিতান্তই সাধারণ। কিন্তু এই সাধারণ কথামালা পড়েও যদি কেউ মানসিকভাবে কিছুটা শান্তি লাভ করেন বা সমৃদ্ধ হতে পারেন, এই কঠিন সময়ে কিছুটা আনন্দ লাভ করেন, তাহলে আমার এই প্রয়াস সফল হয়েছে বলে ধরে নেব।
আশা করি, সামনে আমাদের জন্য সুদিন অপেক্ষা করছে। আসুন, ভেঙে না পড়ে, প্রস্তুতি নিই সেই সুদিনকে দুহাত বাড়িয়ে বরণ করে নেয়ার।
রবীন্দ্র প্রবন্ধ সমগ্র

প্রথমবার ই-বুক আকারে এলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমস্ত প্রবন্ধ। এই বইটিতে পাবেন রবীন্দ্রনাথের সমস্ত প্রবন্ধ সংকলন। ২০০০ পাতার ও বেশি। এত বড় বই পড়তে যাতে আপনাদের অসুবিধা না হয় তাই সূচিপত্র করা হয়েছে দুই ভাগে , মূল বইয়ে প্রথমে সব কটি মূল বিভাগের সূচিপত্র লিংক দেওয়া আছে যেমন আত্মপরিচয়, আত্মশক্তি ইত্যাদি , সেগুলোতে ক্লিক করলে আপনি বিশদ সূচিতে পৌঁছবেন যেখানে এই বিভাগের প্রত্যেকটি প্রবন্ধের লিংক দেওয়া আছে। আপনাদের যাতে পড়তে সুবিধা হয় সে ভাবে ই করা হয়েছে লিঙ্কিং।
ঠাকুর বাড়ির লেখা

জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে কয়েক প্রজন্ম ধরে সাহিত্যের ধারা বহমান ছিল, রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও তাঁর পিতা, দাদা, দিদি এবং অন্যান্য পরিজন সাহিত্য চর্চা করেছেন । দেবেন্দ্রনাথের ব্রাহ্মধর্মের ওপরের লেখাগুলি, জ্ঞানদানন্দিনী দেবী এবং সত্যেন্দ্রনাথের স্মৃতিকথা, স্বর্ণকুমারী দেবী রচিত দুটি উপন্যাস, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ এবং অনুবাদ, এই সবই পাবেন এই ই-বইটিতে।
ইউক্রেন রাশিয়া সংঘর্ষ

সাধারণত কোনও সমরসাহিত্য রচনা করা হয়ে থাকে যুদ্ধটি সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার বহু বছর পর এবং লেখক সেই ঘটনা সম্বন্ধিত গ্রন্থগুলি দেশ ও বিদেশ থেকে সংগ্রহ করার পরেই। অতঃপর তিনি তাঁর সুললিত ভাষায় অনেক সময় নিয়েই গ্রন্থটি রচনা করে থাকেন, স্বাভাবিক ভাবেই সে সমস্ত গ্রন্থ বহু বড় বড় পুরষ্কারও পেয়ে থাকে।তবে আমার এ সামান্য গ্রন্থটি লিপিবদ্ধ করার জন্যে আমি তেমন কোনো সময়ই পাই নি। এটি বরং বলা যায় যে, যুদ্ধের একটি ধারাবিবরণী দেওয়াই হয়েছে,এই গ্রন্থটিতে প্রথম পনেরো মাসের যুদ্ধের বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, ইচ্ছে রয়েছে যে, পরবর্তী পনেরো মাসের যুদ্ধ শেষ হলেই সেই উপাদানের সাহায্য নিয়ে আবার দ্বিতীয় খণ্ডটি প্রকাশ করতে পারা যাবে।
এই লেখার পুরো অংশটাই লেখকের নিজস্ব দৃষ্টি ভঙ্গী। সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ভারত সরকারের পাবলিক ডোমেন ও ইন্টারনেট ঘেঁটে তিনি এটি লিখেছেন। এখানে বইরাগ পাব্লিকেশনের কোনও মতামত নেই।
অলাতশান্তি

আগে মহাকাব্য লেখা হতো, বিরাট সেই মহাকাব্যের কাল ও স্থানগত প্রেক্ষাপট। সময় এবং ভঙ্গিমা বদলেছে। আজ মহাকাব্য পরিণত হয়েছে উপন্যাসে। এটিও সেরকম এক প্রচেষ্টা!
এই উপন্যাসটি পাঠের এক মনোগত প্রস্তুতি প্রয়োজন। প্রথম অধ্যায় অর্থাৎ অথাতো ভিক্ষুককথা আসলে ভারতের মহাযানি থেকে হীনযানি বৌদ্ধধর্মে প্রত্যাবর্তন। এর সঙ্গে টিকে থাকবে তান্ত্রিক বজ্রযান যা প্রায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে চলেছিলো তখন।
এরপরের অধ্যায়ে অর্থাৎ অথাতো তৃতীয় পথ-এ এই মহাযান এবং সংশ্লিষ্ট বজ্রযান তান্ত্রিকতার সপক্ষে আসবেন আচার্য নাগার্জুন। সবকিছুই যে প্রতীত্যসমুৎপাদ তথা পারস্পরিক সাপেক্ষতা, একটি ছাড়া যে অপরটির অস্তিত্ব নেই, এটাই শূন্যতা।পথ এবং পথিক,গতি এবং স্থিতি,সংসার এবং নির্বাণ যে এই পারস্পরিক সাপেক্ষতার কারণেই স্বভাবশূন্য ও এক, এটাই অদ্বয় শূন্যতার অনুভব। নাগার্জুনের এই উপস্থিতি ছাড়া আজ বেদান্তকে আমরা যেভাবে বুঝি, বৌদ্ধদর্শনকে, তন্ত্রদর্শনকে যেভাবে বুঝি, তা সম্ভব হতো না কখনো।
পরের অধ্যায়ে অর্থাৎ অথাতো জন্মবৃত্তান্ত-তে বোঝা যাবে, হীনযান মহাযান কিছুই নেই আর ভারতে, আছে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক তান্ত্রিক বজ্রযান আর সেই প্রেক্ষিতে শঙ্করাচার্যের জন্ম।
এরপরের অধ্যায় অর্থাৎ অথাতো হননশৈলী-তে শঙ্কর দিগ্বিজয় বর্ণনা যা মূলত শুরু হবে কুমারিল ভট্টের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকারের পর থেকেই। বড়োই আশ্চর্য সেই সাক্ষাৎকার।
শেষ অধ্যায় অর্থাৎ অথাতো মৃতদেহে প্রবেশ, সেই শরীর ত্যাগ করে নিজের দীক্ষা শরীরে ফিরে যাওয়ার আকুতি ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে, তখন হীনযান, মহাযান, কামনাসিদ্ধ বজ্রযান সবই শঙ্করের কাছে বিজ্ঞানবাদে লোপ পেয়েছে যার উপলব্ধি তাঁর হয়েছিলো মাত্র বারোটি মন্ত্রে রচিত মাণ্ডুক্য উপনিষদের উপরে রচিত আচার্য গৌড়পাদের মাণ্ডুক্যকারিকা পাঠ থেকেই যা পরবর্তী কালে খ্যাত হবে অদ্বৈত বেদান্ত নামে।