বাংলা ই-বই
ইউক্রেন রাশিয়া সংঘর্ষ

সাধারণত কোনও সমরসাহিত্য রচনা করা হয়ে থাকে যুদ্ধটি সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার বহু বছর পর এবং লেখক সেই ঘটনা সম্বন্ধিত গ্রন্থগুলি দেশ ও বিদেশ থেকে সংগ্রহ করার পরেই। অতঃপর তিনি তাঁর সুললিত ভাষায় অনেক সময় নিয়েই গ্রন্থটি রচনা করে থাকেন, স্বাভাবিক ভাবেই সে সমস্ত গ্রন্থ বহু বড় বড় পুরষ্কারও পেয়ে থাকে।তবে আমার এ সামান্য গ্রন্থটি লিপিবদ্ধ করার জন্যে আমি তেমন কোনো সময়ই পাই নি। এটি বরং বলা যায় যে, যুদ্ধের একটি ধারাবিবরণী দেওয়াই হয়েছে,এই গ্রন্থটিতে প্রথম পনেরো মাসের যুদ্ধের বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, ইচ্ছে রয়েছে যে, পরবর্তী পনেরো মাসের যুদ্ধ শেষ হলেই সেই উপাদানের সাহায্য নিয়ে আবার দ্বিতীয় খণ্ডটি প্রকাশ করতে পারা যাবে।
এই লেখার পুরো অংশটাই লেখকের নিজস্ব দৃষ্টি ভঙ্গী। সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ভারত সরকারের পাবলিক ডোমেন ও ইন্টারনেট ঘেঁটে তিনি এটি লিখেছেন। এখানে বইরাগ পাব্লিকেশনের কোনও মতামত নেই।
নারী

“নারী”--- এক চির রহস্য-কথা।
যুগে যুগে পুরুষ এই নারী-কে সেধেছে মনেপ্রাণে আর নারীও পুরুষের সকল আশা-স্বপ্নের কোরক-কে ফুটিয়ে তুলেছে ভারি মমতায়। একথা মেনে নিতেই হবে যে নারী-পুরুষের যৌথ জীবন-গান অনেক সময়েই ছন্দ হারিয়েছে তবে সে ছন্দহারা ছন্নছাড়া প্রাণ গুলি প্রতি পলে অনুভব করেছে যে নারী আর পুরুষ একে অন্যের পরিপুরক। আমি পুরুষ হওয়ার দরুণ প্রাকৃতিক ভাবেই “নারী” আমার কাছে সাধনার--- সাধের।
এক নারী শরীরের মধ্যেই ঘটেছিল আমার ভ্রূণ-জন্ম, তারপর সেই শরীরের পুষ্টি-ভাগ পেয়ে বেড়ে ওঠা
আর তাকে বিদীর্ণ করেই ভূমিষ্ঠ হওয়া, নারীর নরম বুক থেকেই শুষে নেওয়া জীবন-রস, তার চোখের আলোতেই প্রথম পৃথিবী চিনতে শেখা আর তাই আজও তার আঁচলের হাওয়া আমার নিভৃতে। আশৈশব এই “নারী” মগ্নতাই আমার কাছে নারী-কে কখনও “আকাশ”, কখনও “অরণ্য”,কখনও “চন্দন” রূপে প্রতিষ্ঠা দেয়, আবার নারীর নির্মমতা আমাকে দিয়ে আঁকিয়ে নেয় নারীর “ছিন্নমস্তা” রূপ। সব মিলিয়ে এই বই-এর কথিকা গুলিতে আমার উপলব্ধির “নারী”-কে এঁকেছি নানাভাবে। সেই সুদূর প্রাগৈতিহাসিক ও ঐতিহাসিক কাল থেকে বর্তমান কালপর্ব পর্যন্ত “নারী”-র চিরন্তনী প্রকাশ ছুঁতে চেয়েই আমার এ অক্ষর যাপন।
আবোল তাবোল এবং হ য ব র ল

‘ছন্দনৈপুণ্য, কল্পনার শক্তি এবং চরিত্র উদ্ভাবনের ক্ষমতায়’ ‘আবোল তাবোল’ (১৯২৩) বাংলা শিশুসাহিত্যে শ্রেষ্ঠ কীর্তিগুলির অন্যতম। ‘যা উদ্ভট, যা আজগুবি’ তা এই পদ্যসংকলনের বিষয় হলেও অনেকেরই মতে, এর ভিতরে প্রচ্ছন্ন রয়ে যায় ‘গূঢ় অনেক সামাজিক অর্থের দ্যোতনা, সমকালীন প্রতিবিম্বন।’ কিন্তু একমাত্রিক রূপেকর ছাঁচে ফেলে দিয়ে এ লেখাগুলিকে ভাবতে গেলে খাটো করে ফেলা হয় বস্তুজগৎকে বিশেষিতভাবে দেখার তাঁর গভীর কবিত্বময় শক্তিকেই। বরং ‘বহুদর্শিতায় ভরা’ তাঁর লেখার ‘আনন্দময় এই সামর্থ্য’ আসলে হয়তো ‘আমাদের এই জীবনযাপনকে আরও একটু সহনীয় করে তোলার ফুর্তিভরা উপাদান।’ মাঘ ১৩২১ বঙ্গাব্দ থেকে ভাদ্র ১৩৩০ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত সন্দেশ পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশিত ৪৬টি ছড়া নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯২৩-এ ‘আবোল তাবোল’-এর আত্মপ্রকাশ। এর মাত্র কয়েকদিন আগে ১০ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সুকুমার রায়। মৃত্যুশয্যাতেও অব্যাহত ছিল প্রকাশিতব্য গ্রন্থের পাণ্ডুলিপির পরিমার্জন ও সংশোধন, প্রচ্ছদচিত্রণ ও ডামিকপির রূপায়ণ। এর সঙ্গেই বার হয়েছিল সুকুমার রায়ের অমর সৃষ্টি ! "ননসেন্স" আখ্যানের এক অসাধারণ উদাহরণ হলো "হ জ ব র ল"! এ নিয়ে আর বেশি কিই বা বলার আছে।
যুদ্ধের সহস্র বছর পর

‘গল্পটা এক অন্ধকার দ্বীপের, সমুদ্র পেরিয়ে অন্ধকার অংশে যে দ্বীপের অবস্থান। যে দ্বীপে আছে অসম্ভব শক্তিশালী এক পাথর। আর পাথরের পাহারায় আছে রূপকথার ভয়ংকর প্রাণী । তিন তিনবার যেখানে গিয়ে বিফল হয়েছে নেহরার রাজ্যের যোদ্ধারা। ফিরে এসেছে মাত্র একজন, মৃত্যুঞ্জয়; যে মানুষটা মরতে জানে না। আবারও যোদ্ধাদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় নেহরার রাজা। এবারের অভিযান কি সফল হবে?
মাঝ সমুদ্রে হঠাৎ দ্বীপের অভিযানে শত্রু হিসেবে আবির্ভাব হয় সমুদ্রের ত্রাস জলদস্যু ডাওমিস। এরপরে আসে অনাকাঙ্ক্ষিত আরেক সমস্যা। যার সূত্রপাত সহস্র বছর আগের সেই যুদ্ধে; যে যুদ্ধে মানবজাতি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল শয়তানের অনুসারী দিদিয়ানদের।
কেটে যায় সহস্র বছর......... প্রধান চত্বরে থেমে যায় গাড়ি। হ্যান আর সায়ার গাড়ি থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে সামনে তাকায়। সামনে তামা রঙের বিশাল দুটি মূর্তি, পরনে যোদ্ধার পোশাক। সামনের মূর্তিটা মহাবীর সেনাধ্যক্ষ ডিওডেরাসের আর ঠিক তার কাঁধের সাথে কাঁধ মিশিয়ে বাম দিকে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য একটা মূর্তি ! আশিহা- প্রাচীন সেই মহাবীরের এই মূর্তিি শ্রদ্ধা এনে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মহান আশিহা; সহস্র বছর আগে যার কারণেই রক্ষা পেয়েছিল সমগ্র মানবজাতি।