বাংলা ই-বই
ইমলি
ইমলি কে? বা ইমলি কার নাম? কেন ? সে কি শুধুই - "জন্মের পর মা আমায় চেটে দেখেছিল আমি খুব টক। তাই নাম রেখেছিল ইমলি। !, নাকি এর কোনো বৃহত্তর দ্যোতনা আছে?
ছোটবেলার খেলার মাঠ থেকে বালিকা উত্তীর্ন হয় নারীত্বে, গলির দুপাশে উঁচু উঁচু বড় বড় ব্রিটিশ আমলের সাবেকি বাড়ির লাল মেঝেতে আলতার ছাপ লেগে থাকে, অসতর্কতায় বেজে ওঠে শাড়ির খুঁটে বাঁধা চাবির গোছা, ছোট একদানা বুদবুদের মত একটা ছোট্ট কষ্ট আজকাল জানান দেয় সে আছে- ইমলির বুকের ভেতর।
উৎসব কি আসে ইমলির জীবনে ? ক্যানভাসে এঁকে রাখা জলের রং, গাছের পাতার সবুজ রং, বাহারি বুনো ফুলের রং, নীল আকাশ আর সাদা মেঘের রঙের জোয়ার কি আসে ইমলির জীবনে ?
অন্ধকার নামছে
ভয় কী? ভয় কি একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, নাকি পুরোটাই মনস্তাত্ত্বিক? মানুষ আসলে ভয় পায় কেন? কী কী জিনিসে বা কী কী কারণে ভয় পায় মানুষ ?
অশুভ কোনও অজানা আশঙ্কা থেকে 'ভয়'–এর সৃষ্টি। কিন্তু মানুষ মাত্রেই অন্ধকারকে ভয় পায়, অস্বস্তি বোধ করে, মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এর মূল কারণ আমাদের জিনে মিশে আছে প্রাচীন অন্ধকার, আদিম অন্ধকারে বসবাসের অভিজ্ঞতা।
সৃষ্টির ঊষালগ্নে মানুষ ছিল বড় অসহায়। গুহা বা অন্য প্রাকৃতিক আধারে তাদের নিতে হত আশ্রয়। কিন্তু আগুনের আবিষ্কার সবকিছু বদলে দিল। আগুন অজানা অন্ধকারকে চিনতে সাহায্য করল। সভ্যতা এগোল। তার সাথে সাথে এগোল মানুষের চিন্তাভাবনা, মানুষ আরও পরিণত হতে থাকল। মানুষ কল্পনা করতে শিখল, অব্যাখ্যাতক লৌকিকতার ঊর্ধ্বে উঠে বুঝে নিতে চাইল। গল্প-কাহিনিরা জন্ম নিল। তার হাত ধরাধরি করে এল সাহিত্য। আর সাহিত্যের একটা বড় অংশ অধিকার করে থাকল ভয়, ভয়ের গল্প, ভূতের গল্প, অলৌকিক গল্প। আসলে, এই বিশ্বচরাচর - সৃষ্টির আদিম কথাটাই হল ভয়। সমস্ত প্রাণী জগতের অন্তরের মর্ম জগতে অবস্থান করে ভীতি।
এই রকম গল্প পড়ার অভিজ্ঞতাই আলাদা, আর সেইসব গল্প যদি হয় বিশ্বের খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের, তাহলে তো সোনায় সোহাগা!
বাছাই করা বিশ্ব সাহিত্যের প্রতিনিধিত্বমূলক কিছু অন্ধকার গল্পের অনুবাদ করেছেন মিতা ঘোষ। 'অন্ধকার নামছে' - সেই অনুপম গল্পগুলির বাংলা সংকলন।
বিষাদ-সিন্ধু
'বিষাদ-সিন্ধু' উপাখ্যানটি নানাভাবে পাঠ করা যায়। এতে ইতিহাস আছে মনে করে বা, এতে ধর্মীয় পুরাণ মিশ্রিত, সেই আগ্রহে। বিষাদ-সিন্ধুর মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে- মুহাম্মাদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেনের মৃত্যুর জন্য দায়ী ঘটনাসমূহ। বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলির সন্ধান ইতিহাসে পাওয়া যায়, কিন্তু কোনো কোনো অপ্রধান চরিত্রের উল্লেখ বা সন্ধান ঐতিহাসিক কোনো গ্রন্থে পাওয়া যায় না। এটি কাব্যিক শৈলীতে রচিত এবং এতে অনেক নাটকীয় পর্ব রয়েছে। বইটি শুধু কারবালা-র যুদ্ধের ঘটনা কেন ঘটে তা বুঝে নিতেই সাহায্য করে না, ইমাম হোসেনের মৃত্যুর ফলে যে সকল ঘটনা ঘটেছিল তারও বর্ণনা রয়েছে এ গ্রন্থে। এই ঐতিহাসিক উপন্যাসে বিষাদ-সিন্ধুর বিষাদ কোন ধরনের বিষাদ তা যেমন বোঝা যায় তেমনই উপন্যাসের চরিত্রচিত্রণ, মানবজীবনের দুঃখ-যন্ত্রণা, হিংসা-বিদ্বেষ,ইতিহাসের পটভূমিকায় সিংহাসন নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংগ্রাম, রক্তপাত, হত্যাকাণ্ড ইত্যাদিও চিত্রিত হয়েছে।
আশ্বিনের শিউলি চৈত্রের পলাশ
বনে চলার পথ যে সব ঘটনা ঘটে সেই সব ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে লেখা পঞ্চাশের অধিক ছোট ছোট গল্প, জীবন যেরকম কখনো তিক্ত, কখনো কষায় কখনো অম্ল কখনো মধুর, এই গল্পগুলিও তেমন, তবে কিনা জীবন আসলে উপভোগ করারই , এই গল্পগুলিও তাই, উপভোগ করার, পাঠকের মুখে মৃদু হাসি ফুটিয়ে তুলবেই এইসব গল্প।
প্রফেসর দিবাকর সোম
অতিপ্রাকৃত আবহের সাথে ইতিহাসের সম্পর্কটি বেশ আকর্ষণীয়। তাই পুরনো কালের নানা যাপন মুহূর্তের কয়েক পশলা বৃষ্টিধারা যদি সমকালের মৃত্তিকাকে ফলবতী করতে ঝরে পড়ে তাহলে বিষয়টা আর একঘেয়ে থাকে না বলেই মনে করি।
প্রফেসর দিবাকর সোমের ৬টি গল্পের পরম্পরা অন্তত এই সময়সারণীর বুকে অবগাহনটিকেই তাই আরেকবার ঝালিয়ে নিতে সুযোগ করে দেয়।
ইতিহাসপ্রেমী ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে থেকে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ ভদ্রলোকটি ওঁর কর্মসূত্রে দেখা ইতিহাসকে অন্তরে অনুভব করতে গিয়ে বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখে পড়েন ও একেকটি আশ্চর্যকর ও অনন্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। আর থেকেই ভরিয়ে তোলেন অনাস্বাদিত কয়েকটি গল্পের ভান্ডার। সেগুলো পরিবেশিত হয়েছে সাপ্তাহিক আড্ডাচক্রে কয়েকটি মুগ্ধপ্রাণ তরুণদলের এক ঘরোয়া চেনা আসরে। সেখানে গল্প শোনার আনন্দ ক্রমে জমে উঠেছে ইতিহাসের অচেনা অজানা রং মেখে।
আমার জীবন
বাংলা সাহিত্যের প্রথম পূর্ণাঙ্গ আত্মজীবনী কোনো পুরুষ সাহিত্যিকের হাত দিয়ে রচিত হয়নি। রচিত হয়েছে একজন অখ্যাত নারীর মাধ্যমে। রাজবাড়ী জেলার অখ্যাত এক গ্রাম 'ভর রামদিয়া'র এক বধূ লিখেছেন এই আত্মজীবনী। তিনি হলেন রাসসুন্দরী দেবী।
তাঁর এই আত্মজীবনীতে উঠে এসেছে ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধের গ্রাম বাংলার কুসংস্কারসমৃদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা, গৃহে আবদ্ধ বিদ্যাশিক্ষা বঞ্চিত নারীর নিগৃহীত জীবনের সকরুণ বিবরণী এই আত্মজীবনী। এটা শুধু একজন নারীর জীবনবৃত্তান্তই নয়, হয়ে উঠেছে ইতিহাসের এক প্রামাণ্য দলিলও।
এটি পড়ে মুগ্ধ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন,“এ গ্রন্থখানি একজন রমণীর লেখা। শুধু তাহা নহে, ৮৮ বৎসরের একজন বর্ষীয়সী প্রাচীনা রমণীর লেখা। তাই বিশেষ কৌতুহলী হইয়া আমি এই গ্রন্থপাঠে প্রবৃত্ত হই। মনে করিয়াছিলাম যেখানে কোন ভাল কথা পাইব সেইখানে পেনসিলের দাগ দিব। পড়িতে পড়িতে দেখি, পেনসিলের দাগে গ্রন্থকলেবর ভরিয়া গেল। বস্তুতঃ ইহার জীবনের ঘটনাবলী এমন বিস্ময়জনক এবং ইহার লেখায় এমন একটি অকৃত্রিম সরল মাধুর্য আছে যে, গ্রন্থখানি পড়িতে বসিয়া শেষ না করিয়া থাকা যায় না।”
এবার বইরাগ প্রকাশনী দুটি ভাগ নিয়ে প্রকাশ করল এর ই-বুক। আশা দেশ-বিদেশের পাঠকের হাতে যাতে ছড়িয়ে পড়ে এই বইটি।
রঞ্জনা ডাকছে আমায়
ভালোবাসা কি কোনো বাধা মানে? হয়তো না, কিন্তু মাঝে বিচ্ছেদ আসতে পারে, কারণ মানুষের লোভ, নির্মমতা। রঞ্জনা ভালোবেসেছিল, শুভও। কিন্তু তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পায়নি এক মর্মান্তিক ঘটনাতে। কিন্তু সবকিছু সেখানেই কি শেষ হয়ে গেছিল? হয় নি। অপার্থিব অপেক্ষায় থাকা রঞ্জনা আর শুভ কি মিলিত হতে পেরেছিলো? সেই নিয়েই এই উপন্যাসিকা।
মদ খাওয়া বড় দায়
ঊনিশ শতকের কলকাতা। বঙ্গ দেশের বাবুদিগের নিমিত্ত সে বড় সুখের সময়। দেশে আছে জমিদারি, আর রাজধানীতে বাসা। ঘরে সতী সাধ্বীর স্ত্রীদের সতীত্ব রক্ষা নিয়ে প্রবল আচার, বিধি নিষেধ আর বাইরে বারবধূ সংসর্গেই সামাজিক প্রতিষ্ঠা।সে বড়োই রঙ্গ। একদিকে মদ্যপান নিবারণে প্রবল হৈ চৈ আর অন্যদিকে দ্বার বন্ধ করে প্রবল মদ্যচর্চা।
চারিদিকে মদ খাওয়ার ওই রমরমা দেখে এগিয়ে এলেন কিছু সমাজমনষ্ক কিছু মানুষ। পত্র-পত্রিকাতেও লেখালিখি শুরু হলো। মদ্যপান বিরোধী ওই আন্দোলনে এগিয়ে এলেন এক ডিরোজিয়ান প্যারীচাঁদ মিত্র এবং ডেভিড হেয়ারের এবং হিন্দু কলেজের উত্তর-ডিরোজিও পর্বের ছাত্র প্যারীচরণ সরকার। প্যারীচাঁদ মিত্র মদ খাওয়ার বিরোধিতা করে ‘মাসিক পত্রিকায়’ কয়েকটি প্রবন্ধ লিখলেন এবং তারপর আজ থেকে একশ বাষট্টি বছর পূর্বে টেকচাঁদ ঠাকুর ছদ্মনামে ‘মদ খাওয়া বড় দায়, জাত থাকার কি উপায়’ নামে মদ্যপানের কুফল সম্পর্কে ব্যাঙ্গাত্মক এই উপন্যাসটি লিখে ফেলেন।
তরুণের স্বপ্ন
বর্তমানে দেশের পারিপার্শ্বিক বাতাবরণ এবং দেশবাসীর চিন্তাধারার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে কিন্তু ‘তরুণের স্বপ্ন’-র যে “গোড়ার কথা” তার সত্যতা আরও তীব্রভাবে প্রতিভাত।স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে হলে যে ঐকান্তিকতা, আগ্রহ ও সাধনার দরকার তা আজও আমাদের নাগালের বাইরে। দেশে শিক্ষিতের সংখ্যা বেড়েছে, ব্যবসা হয়তো বেড়েছে কিন্তু নতুন কর্মস্রোতের অভাব প্রকট। সংখ্যা বৃদ্ধি হয়তো পরিসংখ্যানগত ভাবে বোঝাবে উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কি তাই? সমস্ত চিন্তা-ভাবনা ও কর্ম্মধারাকে সফল করার একমাত্র ভিত্তি—ব্যক্তিগত চরিত্রের উৎকর্ষ সাধন এবং তা অর্জনে আমরা কতটা সফল, তাই হলো ‘তরুণের স্বপ্ন’র প্রথম ও শেষ প্রশ্ন। এবং এই ক্ষেত্রে যে আদর্শ মানুষ আমাদের রোল মডেল হতে পারেন, সেই মানুষের সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।দরকার এমন একজন এই চরিত্রবান পুরুষের যিনি তারন চিন্তা ভাবনা কর্মপদ্ধতির মধ্যে দিয়ে তরুণ যুব সমাজকে সঠিক দিশা দেখাতে পারবেন।এটাই তরুণের স্বপ্ন হওয়া উচিত। তাই নেতাজীর ভাবনা দেশের মানুষকে জাগ্রত করে তুলুক, উদ্বুদ্ধ করুক।
ধম্মপদ
ধম্মপদ বা ধর্ম্মপদ বৌদ্ধ-ধর্ম্ম শাস্ত্রের নীতি সংগ্রহ গ্রন্থ। ত্রিপিটক, এই তিন শ্রেণী বা পিটকত্রয়ের নাম—সূত্র (সুত্ত), বিনয় ও অভিধর্ম্ম (অভিধম্ম)। সূত্রপিটকে বুদ্ধদেব কর্ত্তৃক ধর্ম্মতত্ত্বালোচনের বিষয়, বিনয়পিটকে সংযম (Discipline) ও অভিধর্ম্মে আধ্যাত্মিক তত্ত্বাবলী (Metaphysics) আলোচিত হইয়াছে। এতন্মধ্যে সূত্রপিটকে ধর্ম্মতত্ত্বসন্ধন্ধীয় বুদ্ধোক্তিসমূহ নিবদ্ধ হয়। এইজন্য সূত্রপিটকের অন্য নাম বুদ্ধবচন ও “মূলগ্রন্থ”। এই উক্তি সমূহ হইতে সারনীতি সংগ্রহ করিয়া যে সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ সম্পাদিত হয়, তাহারই নাম ধম্মপদ। বুদ্ধদেব কখন কোথায়, কোন্ অবস্থায় কাহার সহিত কথােপকথনচ্ছলে কোন্ কথা বলিয়াছিলেন, সেই সমস্ত সূত্র পিটকে সংরক্ষিত হইয়াছে। ধম্মপদ গ্রন্থ ঐ সকল বাক্য হইতে নীতিমালা সংগ্রহ করিয়া শ্রেণীবদ্ধ ভাবে সম্পাদিত হইয়াছে। অন্যান্য বৌদ্ধ ধর্ম শাস্ত্রের ন্যায় ইহাও পালিভাষায় লিখিত। ধম্মপদ শব্দের সাধারণ অথ ধৰ্ম্মের পথ বা সােপান।
দাবনিশ আখ্যান
লেখকের তরফ থেকে কল্পনার ঘোড়া ছোটানো বা পাঠকের পক্ষ থেকে অভিনব কল্পনার রস আস্বাদন করা, দুটোই হয় ফ্যান্টাসিতে। আর সেটাও যদি হয় এপিক বা হাই ফ্যান্টাসি, তাহলে চাওয়া-পাওয়ার হিসেবটা আরো বেড়ে যায়। সম্ভবত সবচেয়ে বেশি কল্পনা শক্তির প্রয়োগ ঘটে এ জনরাটিতেই। একদম গোড়া থেকে একটা দুনিয়া গড়ে তোলা, সে দুনিয়ার ভূখণ্ড, নিয়ম কানুন বা ইতিহাস, মানুষ বা অন্যান্য জীবের প্রজাতি, সে দুনিয়ার বিজ্ঞান যেটা অনেক ক্ষেত্রেই আবার জাদুর মতো অভিনব ব্যাপার সমর্থন করে বিভিন্ন উদ্ভিদ, মানব সংস্কৃতি; কাজ করার সুযোগ থাকে অনেক কিছুতেই। পাঠকও এ জনরায় খুঁজে পায় বুঁদ হয়ে থাকার মতো হাজারও উপাদান।
এইসব মাথায় রেখেই দাবনিশ লেখা শুরু। দাবনিশ আখ্যান হবে একটা সিরিজ। আসমানের আঁধার এর শুরু ।